শিরোনাম
তার প্রোস্টেট ক্যানসার ধরা পড়েছে। খবরটা শোনার পর স্বাভাবিকভাবেই শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ার কথা লুইস ফন গালের। কিন্তু নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলের কোচ কাউকে বুঝতেই দিলেন না কিছু। দলকে অনুশীলন করিয়ে গেছেন ওই অবস্থাতেই।
তৃতীয় মেয়াদে ডাচ কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ফন গাল তার দেশকে কাতার ২০২২ বিশ্বকাপের মূলমঞ্চে নিয়ে গেছেন। ২০১৪ বিশ্বকাপে ফন গালের কোচিংয়েই নেদারল্যান্ডস তৃতীয় হয়েছিল। এর পরের বিশ্বকাপে জায়গা পায়নি।
সম্প্রতি ডাচ এক টিভি অনুষ্ঠানে ৭০ বছর বয়সী ফন গাল নিজের ক্যানসারের কথা জানান। জানান, রোগ গোপন রেখেই কীভাবে দলের দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
ফন গাল বলেন, 'জাতীয় দলের কোচ হিসেবে দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে আমাকে রাতে হাসপাতালে যেতে হয়েছে, খেলোয়াড়দের তা জানতে দেইনি। ভাবছিলাম সুস্থই আছি, কিন্তু আসলে নেই।’
খেলোয়াড়দের জানাননি কেন? ফন গালের ভয় ছিল, এই খবর তাদের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই নিজের অসুস্থতা গোপন রাখার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
প্রায় চার দশকের কোচিং ক্যারিয়ারে ঈর্ষণীয় সব সাফল্যের মালিক ফন গাল। তার কোচিংয়ে লিগ শিরোপা জিতেছে বার্সেলোনা, অায়াক্স, বায়ার্ন মিউনিখ এবং এজেড আলকেমার।
তার কোচিংয়েই ১৯৯৪-৯৫ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল আয়াক্স। ক্লাবগুলোর হয়ে আরও অনেক শিরোপার স্বাদ পেয়েছেন ফন গাল।
দুটি মৌসুম কাটিয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। দলটিকে ২০১৬ সালে এফএ কাপ শিরোপা জেতানোর পরও বরখাস্ত হন ডাচ এই কোচ।