শিরোনাম
নিজের সময়ের সেরা মিডফিল্ডারদের একজন ক্রিশ্চিয়ান। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টটা না হলে হয়তো মুকুটে আরও অনেক পালক যুক্ত হতো ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের।
গত জুনের পর বলতে গেলে এটা তার দ্বিতীয় জীবন। কোপেনহেগেনে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালীন মাঠে হঠাৎ লুটিয়ে পড়েন এরিকসেন। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার পর সতীর্থদের দূরদর্শিতার মাঠে প্রাথমিক সেবা দেওয়ার পর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
হঠাৎ এমন ঘটনায় বিহ্বল হয়ে পড়ে ফুটবল বিশ্ব। ফুটবল সমর্থকেরা প্রার্থনায় বসে এরিকসেনের সুস্থতার জন্য। ‘ফুটবল ঈশ্বর’ নিরাশ করেননি। বেঁচে ওঠেন ড্যানিশ মিডফিল্ডার। মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফেরা এরিকসেনও বেশিদিন হয়নি ফিরেছেন পেশাদারি ফুটবলে।
এবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ৯ মাস পর ফিরলেন আন্তর্জাতিক ফুটবলেও। প্রত্যাবর্তনটা গোল করেই রাঙালেন ৩০ বছর বয়সী তারকা। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মাঠে নামার দ্বিতীয় মিনিটেই গোলের দেখা পান এরিকসেন।
ইয়োহান ক্রুইফ অ্যারেনায় ডাচদের বিপক্ষে দু’বার ঘুরে দাঁড়িয়েও ৪-২ গোলে হেরেছে ডেনমার্ক। এই ম্যাচে ৪৬তম মিনিটে মাঠে নামেন এরিকসেন। এর দুই মিনিট পরেই গোলের দেখা পান তিনি।
গত জানুয়ারিতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ব্রেন্টফোর্ডের সঙ্গে ৬ মাসের চুক্তি করে পেশাদারি ফুটবলে ফেরেন এরিকসেন। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পর অবশ্য কেউ ভাবেননি, ড্যানিশ মিডফিল্ডারকে ফের দেখা যাবে পেশাদারি ফুটবলে।
তবে হাল ছাড়ার পাত্র নন এরিকসেন। ওই ঘটনার পর ইন্টার মিলানের হয়ে আর খেলা না হলেও চিকিৎসকদের সবুজ সিগন্যাল পেয়ে আয়াক্সের মাঠে অনুশীলনে নেমে পড়েন তিনি। ধীরে ধীরে ফিটনেস পাওয়ার পর পেশাদারি ফুটবলেও ফেরেন টটেনহামের এই সাবেক তারকা।
সূত্র: দেশ রূপান্তর