শিরোনাম
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের এই ঐতিহাসিক বিজয়ে সবচেয়ে বেশি সাফল্য পেসারদের। বিশেষ করে পেসার তাসকিন আহমেদের। পুরো সিরিজেই বলতে গেলে প্রোটিয়া ব্যাটারদের সামনে আগুন ঝরিয়েছেন তিনি। সঙ্গে শরিফুল আর মোস্তাফিজের নিয়ন্ত্রিত বোলিং পুরো সিরিজেই ভুগিয়েছে স্বাগতিক ব্যাটারদের।
যে কারণে এই প্রথম বাংলাদেশের হয়ে কোনো পেসার হলেন ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট। শেষ ম্যাচে তো দুর্দান্ত বোলিং করার কারণে এমনিতেই ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন তাসকিন আহমেদ। দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল তো তাসকিনকে তার এই দুই পুরস্কার দেখিয়ে বলেছেন, ‘এটাই তোমার আইপিএল, আইপিএলের চেয়েও বড়।’
অন্যদিকে দলের এক নম্বর পেসার মোস্তাফিজুর রহমান মনে করেন, পেসারদের এই সাফল্য তাদের একটি ইউনিট হয়ে থাকার ফসল। তিনি জানিয়ে দেন, তারা পেসাররা সব সময় একই সঙ্গে থাকেন। কেউ আলাদা নন। নিজেরা সব সময়েই নিজেদের চিন্তাধারা শেয়ার করেন। শুধু তাই নয়, সুখে-দুঃখে সব সময় যেন তারা একসঙ্গে থাকতে পারেন, সে কামনাও জানিয়েছেন মোস্তাফিজ।
আজ সেঞ্চুরিয়নে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মোস্তাফিজ জানান, পেসাররা ম্যাচ জেতাতে পারলে তার সব সময়ই ভালো লাগে। তিনি বলেন, ‘আমরা পেস বোলাররা যদি ম্যাচ জেতাতে পারি, আমাদের খুবই ভালো লাগে। আমরা পেসাররা সবসময় একটা ইউনিট হয়ে থাকি। বোলিং করার সময় দেখবেন, আমরা সবসময় একসাথে থাকি, আমরা কেউ আলাদা না। কারোর চিন্তাধারায় কিছু একটা আসলে সেটা সবার সাথে বিনিময় করি। এই কারণে আমার মনে হয় আমরা সবাই নিজেদের ভেতর কথা বলি বলেই আমাদের উন্নতি হচ্ছে।’
পেসাররা ভালো করেছে বলে বাংলাদেশ এমন ঐতিহাসিক সাফল্য পেয়েছে। মোস্তাফিজ বলেন, ‘খুবই ভালো লাগছে। শরিফুলকে আমি বিপিএলে (বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে) পেয়েছিলাম। তারপর থেকে তো জাতীয় দলে আসলো। দুই বছর একসাথে ছিলাম তাসকিনের সাথে। মাঝে বাদ পড়েছিল, আবার আলহামদুলিল্লাহ ভালো খেলছে, ছন্দে ফিরেছে। আমি চাই, আমরা পেস বোলাররা সবাই একসাথে ভাই হিসেবে যেন থাকতে পারি। সবাই যেন খারাপ ও ভালো সময়ে একসাথে থাকি।’