শিরোনাম
দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলা হলেই যেকোনো পেসারের চোখ চিকচিক করে ওঠে। উইকেট পেসবান্ধব, বল ওঠে। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় কথা বলার সময় শরীফুল ইসলামের চোখও চিকচিক করছিল। হাসিমুখে বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার জানালেন, ‘এখানে অনুশীলন করে খুব ভালো লাগছে।’ শরীফুলের এই ভালো লাগার পেছনে সুখস্মৃতিও কাজ করছে। ২০২০ সালে এই দক্ষিণ আফ্রিকাতেই তো অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপ জিতেছে বাংলাদেশ, আর শরীফুল ছিলেন সেই দলের অন্যতম সারথী।
শরীফুল সেই দল থেকেই উঠে এসেছেন জাতীয় দলে। নিজের জায়গা মোটামুটি পাকাই করে ফেলেছেন। খেলে ফেলেছেন ৩টি টেস্ট, ৭টি ওয়ানডে ও ১৯টি টি–টোয়েন্টি ম্যাচ। কিছুদিন আগে দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি অ্যালান ডোনাল্ড বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব পাওয়ার পর আলাদা করে উল্লেখ করেছিলেন শরীফুলের নাম। বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শরীফুলের মধ্যে ‘দারুণ সম্ভাবনা’ দেখার কথা জানিয়ে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ যেবার দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যুব বিশ্বকাপ জিতে গেল, সেবার ওর বোলিং কিছুটা দেখার সুযোগ হয়েছিল আমার।’
দক্ষিণ আফ্রিকাতেই বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বলে তুমুল গতির জন্য ‘সাদা বিদ্যুৎ’ নামে পরিচিত অ্যালান ডোনাল্ড। শরীফুলের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছে সকালে নাশতার টেবিলে। এর আগে শুধু টিভিতেই দেখেছেন, তারপরও শরীফুলকে দেখেই চিনে ফেলেছেন। পরে কাজ করেছেন শরীফুলের বোলিং নিয়েও। শরীফুলের ভাষায়, ‘তিনি ব্রেকফাস্টের (সকালের নাশতা) সময় চিনতে পেরেছেন। কথা হয়েছে। মাঠে অনুশীলন করার সময় তিনি আমার কবজির অবস্থান নিয়ে কাজ করেছেন। চেষ্টা করেছি। কিছুদিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ। আশা করি, ভালো কিছু নিতে পারব তাঁর কাছ থেকে।’
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। যে সফরের কথা জানার পর থেকেই শরীফুল রীতিমতো রোমাঞ্চিত। সেই রোমাঞ্চের কথাও বললেন ভিডিওতে, ‘যখন শুনেছি দক্ষিণ আফ্রিকায় আমাদের সিরিজ আছে, খুব ভালো লেগেছে। (কারণ) ওখানে আমরা একটা বিশ্বকাপ জিতেছি।’
দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটই শরীফুলকে আবারও স্মরণীয় কিছু করার স্বপ্ন দেখাচ্ছে, ‘এখানে পেসারদের বল সব সময় “ক্যারি” করে। বল ক্যারি করলে পেসারদের অবশ্যই ভালো লাগে। দক্ষিণ আফ্রিকায় পেসাররা সব সময়ই একটু সুবিধা পান। এখানে অনুশীলন করে খুব ভালো লাগছে।’
সূত্র: প্রথম আলো