শিরোনাম
শনিবারই বিসিবি সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের পর মিডিয়ার সামনে এসে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি রোববার রাতেই দক্ষিণ আফ্রিকা রওনা হলেন। যে কথা সেই কাজ।
গতকাল রোববার রাত ১১ টার ফ্লাইটেই দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন। দেশ ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে বেশ ফুরফুরে মেজাজে চ্যাম্পিয়ন অলরাউন্ডার। উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে সাড়ে ৫ মিনিটের আলাপে সাকিব বলে গেলেন অনেক কথাই।
তবে সব কথার ভিড়ে আসল কথাটি বলতে ভোলেননি। সাকিবের আশা, দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ জিততে পারলে খুবই ভাল লাগবে। তবে অন্তত একটি ম্যাচ জেতার লক্ষ্য তার।
তিনি বলে গেলেন, ‘আমি চাই অন্তত একটি ম্যাচ জিততে। আর যদি সেটা হয়, তাহলে খুব ভাল হবে। আমার ধারণা পুরো দলেরই টার্গেট থাকবে সেটা।’
মাঝে যেতে চাননি। শরীর ও মনের দিক থেকে অবসাদগ্রস্ত ছিলেন। শেষ পর্যন্ত যখন দেশ ছাড়ছেন, তখন আপনার মনর অবস্থা কেমন? আপনি কতটা স্বস্তি নিয়ে যাচ্ছেন?
সাকিবের চট জলদি জবাব, ‘অনেকটাই স্বস্তির। দলের সাথে থাকাটা সব সময়ই স্বস্তির ও সুখের। ভাল ব্যাপার। মজার ব্যাপার। শেষ ১৫ বছর ধরে আছি। আশা করছি সামনেও থাকবে সেটা। দলের সাথে থাকাটাই আনন্দের।’
আফগানিস্তানের সঙ্গে সিরিজটিও তিনি খুব উপভোগ করেননি। বলেছিলেন তিনি প্যাসেঞ্জারের আসনে ছিলেন। এবার দক্ষিণ আফ্রিকায় কী ড্রাইভিং সিটে বসতে চান? সাকিবের রসিকতামাখা জবাব, ‘কে না চায়? আমিও ড্রাইভিং সিটে থাকতে চাই।’
অনেক জটিলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়ে কতটা কী করতে পারবেন? এ প্রশ্নের জবাবে সাকিবের অন্যরকম উত্তর, ‘অনেক সময় জায়গা পরিবর্তনের সাথে সাথে মানসিকতারও পরিবর্ত ঘটে। আমি অমনটাই আশাই করছি। আমি সিউর যে আমি সব সময়ই টিমের সবার সাপোর্ট পাই। এবারও আশা করছি তারা আমাকে সাপোর্ট করবেন এবং আমি চেষ্টা করবো তার মূল্য দিতে।’