শিরোনাম
একটা বিশ্বকাপ কিংবা মহাদেশিয় টুর্নামেন্টে কেউ যদি দুরন্ত খেলেন, তাহলে কি তার ব্যালন ডি’অর পাওয়া উচিত? সপ্তম ব্যালন ডি’অর পাওয়ার পর লিওনেল মেসিকে নিয়ে এই প্রশ্নই উঠেছিল। গতবার আর্জেন্টেনিয়ান তারকা দেশের হয়ে কোপা আমেরিকা জিতেছিলেন। কিন্তু ক্লাবের হয়ে তেমন সাফল্য ছিল না। সেই কারণেই প্রশ্ন উঠেছিল, কীসের ভিত্তিতে তাকে ব্যালন ডি’অর দেওয়া হল?
ব্যালন ডি’অর যে সংস্থা দেয়, তারাও প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিল। তাই ভুল শুধরে নেওয়ার জন্যই এবার থেকে বিশ্বের সেরা ফুটবলারকে এই পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক নিয়মে বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ ব্যালন ডি’অর নিয়ে প্রশ্ন তুলতে না পারেন। চলতি বছর অক্টোবরে হবে ব্যালন ডি’অরের অনুষ্ঠান হবে। কী কী বদলাচ্ছে?
১) যে ফুটবলাররা ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের জন্য মনোনীত হবেন, তার ক্ষেত্রে আর ক্যালেন্ডার ইয়ার দেখা হবে না। পুরো মৌসুমের পারফরম্যান্স বিচার করেই তবে তালিকায় জায়গা দেওয়া হবে তাদের। অর্থাৎ আগামী বছরের পুরস্কার মিলবে এই মৌসুমের সাফল্যের হিসাবে।
২) ব্যালন ডি’অরের প্রাথমিক তালিকা বানানোর দায়িত্ব থাকেন ফ্রান্স ফুটবল ও খেলার কাগজ লেকিপের সাংবাদিকরা। ব্যালমন ডি’অরের অ্যাম্বাসাডর দিদিয়ের দ্রোগবা প্রাথমিক তালিকা বানানোর জন্য এবার থেকে সাহায্য করবেন তাদের।
৩) ভিয়েতনাম ও চেক প্রজাতন্ত্রের দুই সাংবাদিক সাহায্য করবেন আগামী ব্যালন ডি’অরের প্রাথমিক তালিকা বানানোর জন্য।
৪) ফ্রান্স ফুটবলের তরফ থেকেও জানানো হয়েছে, ব্যালন ডি’অর হল ব্যক্তিগত পুরস্কার। তাই এই পুরস্কার যারা পাবেন, তাদের সেরা ফর্ম, টিমকে খেতাব জেতাতে কতটা সাহায্য করেছেন তাও দেখা হবে।
৫) ব্যালন ডি’অরের জন্য এ বার থেকে ভোট ফিফা ব়্যাঙ্কিংয়ে ১০০-তে থাকা পুরুষদের জাতীয় টিম ও ৫০-এ থাকা মেয়েদের জাতীয় টিম দিতে পারবে।
৬) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, ব্যালন ডি’অর পাওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনও ফুটবলারের ক্যারিয়ার কোনও ভাবেই বিচার্য হবে না।