শিরোনাম
খেলায় হেরে নিজের মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিলেন পিএসজি চেয়ারম্যান নাসের আল খোলাইফি। নিজ দলের চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায়ের কষ্টটা ক্ষোভে পরিণত হয় তার।
তেড়ে গেলেন রেফারিকে মারতে!
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে পিএসজির খেলায়।
ম্যাচে প্রথমার্ধে এগিয়ে ছিল প্যারিসের দলটি। এমবাপ্পের নৈপুণ্যে ১-০ গোলে এগিয়ে প্রথর্মাধ শেষ করে। যদিও তা ২-০ হতে পারত। কিন্তু অফসাইডের ম্যারপ্যাঁচে পড়ে এমবাপ্পের সেই গোল বাতিল হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেও সেই অফসাইড নিয়মে এমবাপ্পের আরেকটি গোল বাতিল হয়। ফলে ৩-০ স্কোরলাইনের বদলে ১-০তেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল খোলাইফির। কিন্তু সেই সন্তুষ্টিও মিলল না।
শেষ ত৩০ মিনিটের মধ্যে সব হিসাব-নিকাশ বদলে দেন রিয়াল মাদ্রিদের করিম বেনজেমা। মাত্র ১৮ মিনিটের মধ্যে তিন গোল করে দলকে শেষ আটে তোলেন এ ফরাসি স্ট্রাইকার।
ফলে দুই লেগ মিলে ২-৩ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে বিদায় নিতে হয়েছে পিএসজিকে। যা একদমই মানতে পারেননি ক্লাবটির চেয়ারম্যান নাসের আল খেলাইফি। বিশেষ করে রেফারির দিকেই আঙুল তার।
ম্যাচের ৬১ মিনিটে দেওয়া বেনজেমার গোলটি মেনে নিতে পারেননি খোলাইফি। মার্কো ভেরাত্তির দূর থেকে দেওয়া ব্যাক পাসে বল ক্লিয়ারের চেষ্টায় ডি-বক্সের আরেক পাশে পাস দেন পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডনারুম্মা।
সেখানে প্রস্তুত ছিলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। ফাঁকায় বলটি পেয়ে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বেনজেমাকে পাস দেন ব্রাজিলিয়ান তরুণ।
ডি-বক্সের মাঝামাঝি জায়গা থেকে সহজেই সেটি গোলে পরিণত করেন বেনজেমা।
এই গোল নিয়েই যত আপত্তি পিএসজি চেয়ারম্যানের। তার মতে, ডনারুম্মাকে ফাউল করেছেন বেনজেমা।
ম্যাচটির সম্প্রচারক সংস্থা মুভিস্টারের সাংবাদিক মনিকা মারশান্তের বরাতে মাদ্রিদভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দৈনিক মার্কা জানিয়েছে, ম্যাচ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেফারির কক্ষে ছুটে যান খোলাইফি। এ সময় খেলাইফি চোখ-মুখ রাগে লাল ছিল। রাগে-ক্ষোভে ফুঁসছিলেন তিনি। ভিআইপি বক্স থেকে নেমে রেফারির কক্ষ কোনটি সেটা জিজ্ঞেস করতে থাকেন। এক সময় ভুল করে রিয়ালের প্রতিনিধি মেহিয়া দাভিলার কক্ষে ঢুকে পড়েন খোলাইফি।
যে কারণে রেফারির ওপর রাগ ঝাড়াটা আর হয়নি পিএসজি চেয়ারম্যানের।