শিরোনাম
টেস্ট আর ওয়ানডেতে রানেই ছিলেন। আছেনও। তবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ব্যাট কথা বলেনি প্রায় দু’বছর। ইতিহাস জানাচ্ছে টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে লিটনের হাফ সেঞ্চুরি ছিল না প্রায় ২৪ মাস।
২০২০ সালের ১১ মার্চে হোম অফ ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে শেষ হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন (৪৫ বলে ৬০ নটআউট)। তারপর ১৮ নম্বর ম্যাচে এসে আবার রান পেলেন।
এই যে দীর্ঘ সময় রান করতে না পারা, বিশ্বকাপে ব্যর্থতার ঘানি টানা। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট ফরম্যাটেও রান পেলেন এবার।
কি করে সম্ভব হলো এটা? সেটা কী কোন ব্যাটিং কোচের দেখিয়ে দেয়া পথে হেঁটে? নাকি এবার বিপিএলে তার দল কুমিল্লায় ফাফ ডু প্লেসি আর মইন আলির মত বিশ্বমানের পারফরমারদের সান্নিধ্যে এসে? বাইরে থেকে তেমন মনে হওয়ারই কথা।
লিটন দাস জানিয়ে দিলেন আসলে তার টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভাল খেলার কারন। আজ বৃহস্পতিার খেলা শেষে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নিজের টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভাল খেলার কারন ব্যাখ্যা করে লিটন বোঝানোর চেষ্টা করেন , আসলে খেলাটা বোঝা , ফরম্যাট অনুযায়ী করনীয় কি , তা ঠাউরে ওঠাই আসল কথা।
লিটনের অনুভব, আগে তিনি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট ততটা বুঝতেন না। আর এখন সময়ের প্রবাহমানতায় এখন তিনি ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট্ট ফরম্যাটটা বুঝতে শুরু করেছেন এবং করণীয় কাজ গুলো কি, তা বুঝতে পেরেছেন।
তাই মুখে এমন কথা, ‘এখন আস্তে আস্তে বোঝা শুরু করেছি। আগে হয়তো ওভাবে বুঝতাম না।’
বোঝার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় প্রয়োজন, তা জানিয়ে লিটন বলেন, ‘আপনি যত খেলবেন। ততই শিখবেন। এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। মানুষ এভাবেই ধীরে ধীরে শেখে। আমার মনে হয় এ জায়গায় আমি বোঝার চেষ্টা করছি। ভবিষ্যতে যাতে টিমকে হেল্প করতে পারি।’
অনেক কথার ভিড়ে লিটন জানিয়ে দিলেন, তাকে বিশ্বকাপের পর দল থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল। বিশ্রাম দেয়া হয়নি।
প্রশ্ন উঠেছিল বিশ্বকাপের পর কী বিশ্রাম দেয়া হয়েছিল আপনাকে? লিটনের পাল্টা প্রশ্ন, ব্রেক না, ড্রপ? ব্রেক বলতে, আমি কী অনেক ক্রিকেট খেলে ফেলেছি যে ছুটি নেব? বিশ্বকাপের পর এসে সরাসরি ন্যাশনাল লিগে খেলেছি, ছুটি নিলাম কোথায়?
টি টোয়েন্টি দলে ফেরা সম্পর্কে লিটনের ব্যাখ্যা, ‘টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট ছাড়া আমি তো টেস্ট খেলছিলাম, ওয়ানডে খেলেছিলাম। ধারাবাহিক ছিলাম। নির্বাচকরা আমাকে মনে করেছেন, লিটনকে খেলালে ভালো হবে। আমি চেষ্টা করেছি শতভাগ দেওয়ার।’