শিরোনাম
২০২১ সাল দারুণ কেটেছে বাংলাদেশ টি-২০ ক্রিকেট দলের। ঘরের মাঠে হারিয়েছে দুই ক্রিকেট পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে। দেশের বাইরে জিতেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। টানা তিন সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাসে অংশ নেয় টি-২০ বিশ্বকাপে। প্রথম রাউন্ডে ওমান ও পাপুয়া নিউগিনি হারালেও হেরে যায় স্কটল্যান্ডের কাছে। সুপার টুয়েলভে টানা ৫ ম্যাচ হারের লজ্জাজনক পারফরম্যান্স ছিল মাহমুদুল্লাহদের। টি-২০ বিশ্বকাপের ব্যর্থতার ধাক্কা সামলাতে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে মুখোমুখি হয় টাইগাররা। বছর শেষ করে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায়।
নতুন বছরে টেস্ট ও ওয়ানডে খেলেছে এরমধ্যেই। নতুন বছরে আজ বৃহস্পতিবার প্রথম টি-২০ ম্যাচ খেলবে। টানা ৮ হারের ধাক্কা সামলে জয়ের ট্রাকে ফিরতে টাইগারদের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। দুই ম্যাচ টি-২০ সিরিজের পরেরটি ৫ মার্চ। ম্যাচ দুইটির ভেন্যু মিরপুর স্টেডিয়াম এবং শুরু বেলা ৩টায়। টানা হারের ধাক্কা সামলে আজ জয়ের জন্য মাঠে নামবে মাহমুদুল্লাহ বাহিনী। বলাই বাহুল্য বাংলাদেশের জন্য এই ম্যাচ হারের বৃত্ত ভাঙার মিশন। এদিকে, আফগানিস্তান র্যাংকিংয়ে যেমন এগিয়ে আছে, একইভাবে এগিয়ে মুখোমুখি পরিসংখ্যানেও। এখন পর্যন্ত দুই দল পরস্পরের বিরুদ্ধে খেলেছে ৬টি ম্যাচ, যার ৪টিতেই জিতেছে আফগানরা। হারের বৃত্ত ভাঙার লক্ষ্যে তাই শক্তিশালী প্রতিপক্ষকেই মোকাবেলা করবে টাইগাররা।
টাইগার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘আশাতো অবশ্যই জেতার। আমি সবসময় বলি, টি-২০ ফরম্যাট এমন একটি ফরম্যাট, যে কোনো দিন যে কোনো দল জিততে পারে। আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। আমরা কালকের (আজকের) ম্যাচেই ফোকাস করছি। আমাদের শুরুটা নিয়ে আমরা ফোকাস করছি।’
রশিদ খান, মুজিব উর রহমানের স্পিন সামলে চট্টগ্রামে ওয়ানডে সিরিজ জিতে নেয় তামিম বাহিনী। সেই উচ্ছ্বাস নিয়ে মাহমুদুল্লাহ বাহিনী খেলবে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা আফগানিস্তানের।
আফগানিস্তান এগিয়ে পরিসংখ্যানেও। ৬ ম্যাচে ৪ জয় আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ জিতেছে ২টি। দুই দলের সর্বশেষ লড়াইয়ে টাইগাররা জিতেছিল ৪ উইকেটে। তিন জাতির টুর্নামেন্টের প্রথমটি হেরেছিলেন মাহমুদুল্লাহরা। দুই দল প্রথম ম্যাচ খেলেছিল ২০১৪ সালের ১৬ মার্চ। সাকিবের বিধ্বংসী বোলিংয়ে টাইগাররা ৯ উইকেটে জিতেছিল। আট বছর আগে টাইগার একাদশের চার ক্রিকেটার সাকিব, তামিম, মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ খেলছেন চলতি সিরিজে। ২০১৮ সালে ভারতের দেহরাদুনে দুই দেশ খেলেছিল ৩ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ। আফগানিস্তান জিতেছিল ৩-০ ব্যবধানে।