প্রথম টি-টোয়েন্টিতেই অভিষেক হচ্ছে ‘আলোচিত’ মুনিম শাহরিয়ারের

ফানাম নিউজ
  ০২ মার্চ ২০২২, ১২:৩১

ইয়াসির আলী রাব্বি দুই বছরের বেশি অপেক্ষার পর সুযোগ পেয়েছেন। আর প্রতিভাবান মাহমুদুল হাসান জয়কে টেস্টের পর ওয়ানডেতে নেওয়া হলেও একাদশে সুযোগ দেওয়া হয়নি। মুনিম শাহরিয়ারের পরিণতিও কি তাই হবে?

ময়মনসিংহের এ সাহসী যুবা কি আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সুযোগ পাবেন? তাকে কি ১১ জনে বিবেচনা করা হচ্ছে? নাকি শেষ পর্যন্ত ডাক পাওয়াই সার হবে?

আগামীকালই (বৃহস্পতিবার) শুরু টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সেখানে টিম বাংলাদেশ ম্যানেজমেন্ট এর পরিকল্পনায় আছেন কি মুনিম শাহরিয়ার? ওয়ানডে সিরিজ শেষ হতেই এ প্রশ্ন অনেকের মুখে।

একদম ভেতরের খবর, মুনিম শাহরিয়ারকে শুধু ডাকার জন্য ডাকা হয়নি। ২০ বছরের এ সাহসী স্ট্রোক প্লেয়ারকে নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনাই আছে টিম ম্যানেজমেন্টের। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের কাছে প্রশ্ন ছিল, কাল বৃহস্পতিবার কি প্রথম একাদশে মুনিম শাহরিয়ারকে দেখতে পাব?

সুজনের সোজাসাপ্টা জবাব, ‘না পারার কিছুই নেই। মুনিম এবারের বিপিএল আর গতবারের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হওয়া প্রিমিয়ার লিগেই হাত খুলে খেলে জানান দিয়েছে- আমি ওপরের দিকে সাহস নিয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে পারি। মারতে পারি, রানও করতে করতে পারি। পরিষ্কার বোঝা গেছে, মুনিম শাহরিয়ার সাহসী উইলোবাজ। আমরা তাকে খেলানোর কথা ভাবছি। আগামীকাল ৩ মার্চ শেরে বাংলায় প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সে খেলবে।’

মুনিম শাহরিয়ারকে খেলানোর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে জাতীয় দলের বর্তমান ‘থিঙ্ক ট্যাংক’ সুজন বলেন, ‘আমরা আসলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটা তেমন ভালো খেলি না। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সত্যিকার প্রসেসটাই আমরা এখনো সেভাবে রপ্ত করতে পারিনি। এই ফরম্যাটে আমাদের নতুনভাবে আগানোর চিন্তা করতে হবে। আর নতুন পথে হাঁটতে হলে আপনাকে নতুনদের নিয়েও চিন্তা করতে হবে।’

সুজন যোগ করেন, ‘এখন ধরেন তামিম খেলছে না এ ফরম্যাটে। তাকে ৬ মাস টি-টোয়েন্টিতে পাব না। এখন আমাদের আরেকজন ওপেনারতো লাগবেই।’

‘আমরা নতুন বলে সাফল্য পাচ্ছি না তেমন। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটে সব দেশের টপ অর্ডারদের স্ট্রাইকরেট দেখেন, অনেক অনেক বেশি। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান-সব দেশের ফ্রন্টলাইন ব্যাটারদের টি-টোয়েন্টি স্ট্রাইকরেট অনেক বেশি। সেখনে আমরা পিছিয়ে আছি এই বিশেষ জায়গায়। আমাদের সেই চ্যালেঞ্জটাই নিতে হবে।’

সাহসী সিদ্ধান্ত না নিলে টি-টোয়েন্টি ফরমেটে এগোনো যাবে না, মনে করেন সুজন, ‘আমরা হয়তো নতুনভাবে শুরু করে কিছু ম্যাচ হারবো। হয়তো ৮ থেকে ১০ ম্যাচ হারবো। কিন্তু আমাদের ‘ফিয়ারলেস ’ ক্রিকেট খেলার অভ্যাস করতেই হবে। প্রথম ৬ ওভারে একটা ভালো স্কোর গড়ার চেষ্টা করতে হবে। তা না হলে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আগানো যাবে না।’

সূত্র: জাগো নিউজ