শিরোনাম
দীর্ঘ ২৪ বছর পরে পাকিস্তান সফরে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। আর সফরের দ্বিতীয় দিনেই সামনে চলে এল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। জানা গেছে, সফরে আসার আগে অস্ট্রেলিয়ার বাঁ-হাতি স্পিনার অ্যাশটন অ্যাগারকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। খবর সিডনি মনিং হ্যারাল্ডের।
সম্প্রতি এই খবর ফাঁস হওয়ার পর তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেরই ওই সময় মনে পড়ে যাচ্ছিল, গত বছর নিউজ়িল্যান্ড সিরিজের কথা।
তবে ওই হুমকি সরাসরি অ্যাগারকে দেওয়া হয়নি। ইনস্টাগ্রামে পাঠানো হয়েছিল তার স্ত্রী ম্যাডেলিনকে। হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল, পাকিস্তান সফরে এলে তাঁর স্বামীকে আর বেঁচে ফিরতে হবে না।
এই জল্পনার মধ্যেই অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ড এ খবরের সত্যতা স্বীকার করেছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এবং দেশটির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থাও এই হুমকি খতিয়ে দেখছে।
তবে পাকিস্তান বলছে, এখনই নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তাদের দাবি, হুমকিটি পাকিস্তান থেকে নয়, ভারত থেকে কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে ওই হুমকি দিয়ে থাকতে পারে।
অ্যাগার এখন অস্ট্রেলিয়া দলের সঙ্গে ইসলামাবাদে আছেন। পাকিস্তানে পৌঁছনোর ছবিও তিনি গণমাধ্যমে তুলে ধরেছিলেন।
অ্যাগারের স্ত্রী ম্যাডেলিনকে পাঠানো ওই বার্তার স্ক্রিনশটে দেখা যায়— ‘আপনার স্বামী অ্যাশটন অ্যাগারকে সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে। ও যদি পাকিস্তান সফরে আসে, তা হলে আর জীবন্ত ফিরে যেতে পারবে না। পাকিস্তানে এলে আপনার সন্তানরা ওদের বাবাকে হারাবে।’
এই বার্তা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা জানানো হয় অস্ট্রেলিয়া এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে। জানা যাচ্ছে, কোনও একটি ভুয়া ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে এই বার্তা পাঠানো হয়েছে। পাকিস্তানও এই নিয়ে তদন্ত করছে। তবে এই হুমকিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তারা।
পাকিস্তানে পা দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্স জানিয়েছিলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে তারা সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট।
রাওয়ালপিন্ডিতে ৪ মার্চ প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া। কামিন্সদের দলে আছেন, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ক্রিকেটার উসমান খাজা।
উসমান খাজা বলেছেন, ‘পাকিস্তানে এসে ক্রিকেট খেলতে পারার অনুভূতিটাই আলাদা।’ ৩৬ বছর বয়সি খাজার জন্ম হয়েছিল ইসলামাবাদে। পরে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় চলে যান।
খাজা বলেছেন, ‘পাকিস্তানের মাটিতে এসে খেলার ইচ্ছে আমার অনেক দিনের। রাওয়ালপিন্ডির পুরনো স্টেডিয়ামে আমি ছোটবেলায় যেতাম। তাই এখানে খেলার একটা আলাদা ইচ্ছে ছিল।’