শিরোনাম
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের বিরোধিতায় সবার আগে এগিয়ে এসেছে পোল্যান্ড। ইউক্রেনের সহায়তায় সবার আগে অস্ত্র-সরঞ্জাম পাঠিয়েছে তারাই।
এবার ক্রীড়াঙ্গনেও রাশিয়ার আগ্রামন নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাল পোল্যান্ড। রাশিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্লে-অফ ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানাল দেশটি।
এমন ঘোষণায় দেশটির কাতার বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া হুমকির মুখে পড়েছে। এর পরও নিজ দেশের ফুটবল ফেডারেশনের এমন ঘোষণায় সমর্থন জানিয়েছেন দেশটির সেরা ফুটবল তারকা রবার্ট লেওয়ানডস্কি।
তার মতে, রাশিয়ার আগ্রাসন বন্ধে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে তার দেশ।
আগামী ২৪ মার্চ মস্কোতে প্লে-অফের সেমিফাইনালে রাশিয়ার মুখোমুখি হওয়ার কথা পোল্যান্ডের। আরেক সেমিতে দেখা হবে সুইডেন ও চেক প্রজাতন্ত্রের। দুই সেমিফাইনালের বিজয়ী দল কাতার বিশ্বকাপের টিকিটের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ফাইনালে।
এর আগে তিন দলই আভাস দিয়েছিল, রাশিয়ায় খেলতে রাজি নয় তারা।
শনিবার পোল্যান্ড সাফ জানিয়ে দেয়, রাশিয়ার বিপক্ষেই খেলবেই না তারা। একই সিদ্ধান্ত নিতে সুইডেন ও চেক প্রজাতন্ত্রকেও আহ্বান জানিয়ে পোল্যান্ড।
তবে ফিফা পোল্যান্ডের সিদ্ধান্ত মেনে না নিলে কাতার বিশ্বকাপে দেখা যাবে না পোলিশদের। তাতেও আপত্তি নেই পোল্যান্ড অধিনায়ক রবার্ট লেওয়ানডস্কির।
দেশ ও ফেডারেশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বায়ার্ন মিউনিখ তারকা এক টুইটে লিখেছেন— ‘এটিই সঠিক সিদ্ধান্ত। ইউক্রেনের ওপর সশস্ত্র আগ্রাসনের এই কঠিন সময়ে রাশিয়ার সঙ্গে খেলার কথা ভাবতেও পারছি না আমি। রাশিয়ার ফুটবলার ও সমর্থকরা এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী নয়, কিন্তু আমরা এমন ভান করতে পারি না, যেন কিছুই হচ্ছে না।’
ইউক্রেন-রাশিয়া পরিস্থিতি খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের মানসিক অবস্থার ওপরও প্রভাব ফেলছে। অনেক ফুটবলারই প্রকাশ্যে রাশিয়ার নিন্দা করছেন।
এমনকি রাশিয়ান দুই ফুটবলারও যুদ্ধের বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউরোপা লিগের নকআউট প্লে-অফের ফিরতি ম্যাচের আগে ‘যুদ্ধ বন্ধ করো’ লেখা ব্যানার নিয়ে এক কাতারে দাঁড়িয়েছিলেন বার্সেলোনা ও নাপোলির খেলোয়াড়রা।
চ্যাম্পিয়নস লিগের গোল উদযাপনেও লিসবনে গত বুধবার ইউক্রেনের জাতীয় প্রতীক দেখিয়ে দেশকে সমর্থন জানান বেনফিকার ডিফেন্ডার ইয়ারেমচুক।
এদিকে সামরিক আগ্রাসন বন্ধে রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পদক্ষেপ নিয়েছে ইউনিয়ন অব ইউরোপিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনও।
এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের ভেন্যু রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে প্যারিসে সরিয়ে নিয়েছে উয়েফা।
সূত্র: টুইটার ও যুগান্তর