শিরোনাম
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বুধবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশকে অবিস্মরণীয় জয় এনে দিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেন।
আফগানদের দেওয়া ২১৬ রানের জবাবে এ দুইজন মিলে সপ্তম উইকেটের জুটিতে গড়ে তুলেছেন ১৭৪ রানের জুটি। মাত্র ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে হারের শঙ্কায় পড়া বাংলাদেশকে শেষ পর্যন্ত জয় এনে দেন তারা।
আফিফ ১১৫ বল খেলে করেছেন ৯৩ রান। অন্যদিকে মেহেদি ১২০ বল খেলে ৮১ রান করেছেন।
১৭৪ রানের এ জুটি গড়ে বাংলাদেশকে জয় এনে দিয়ে বেশ কয়েকটি রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন তারা।
দুইজন মিলে জুটি গড়ে ১৭৪ রান করে ওয়ানডের ইতিহাসে সপ্তম উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ড গড়েছেন। ২০১৫ সালে ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ ও জস বাটলার মিলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭৭ রান করেন। যা সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
এছাড়া সপ্তম উইকেটের জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটিও ভেঙে দিয়েছেন মেহেদি-আফিফ। এর আগে বাংলাদেশের হয়ে সপ্তম উইকেটের জুটিতে সর্বোচ্চ ১২৭ রান করেছিলেন ইমরুল কায়েস ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
১৭৪ রান করে ১৯৭৫ সালের বিশ্বকাপের একটি রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন মেহেদি-আফিফ। রেকর্ডটি হলো ওয়ানডের ইতিহাসে ৪৫ বা তার কম রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারানোর পর সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়ে দলকে জয় এনে দেওয়া।
১৯৭৫ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৫ রান করার আগেই ৬টি উইকেট হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু এরপর সপ্তম উইকেটের জুটিতে ৫৫ রান করে দলকে জয় এনে দেন গ্যারি গিলমোর ও ডগ ওয়াল্টার্স।
বুধবার আফিফ ও মেহেদি মিলে আরেকটি রেকর্ড গড়েছেন। আর সেটি হলো এত কম রানে ৬ উইকেট হারিয়েও দলকে জয় এনে দেওয়া।
এর আগে ২০০৬ সালে কেনিয়ায় বিপক্ষে ১৮৪ রান তাড়া করতে নেমে ১১২ রান করে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। পরবর্তীতে মাশরাফি বিন মর্তুজা ও আব্দুর রাজ্জাক নবম উইকেটের জুটিতে ৫১ রান করে দলকে জিতিয়েছিলেন।
মেহেদি ও আফিফ দুইজনই আজ বাংলাদেশের হয়ে নতুন আরেকটি রেকর্ড গড়েছেন। আর সেটি হলো সপ্তমস্থান বা এরও নিচে ব্যাটিং করতে নেমে ৮০ বা তার বেশি রান করা।
বাংলাদেশের কেউ ওয়ানডেতে এর আগে কখনো সাতে বা তার পরে খেলতে নেমে ৮০ রান পার করতে পারেননি। এর আগে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি ছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। তিনি ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ের বুলাওয়েতে ৭৩ বল খেলে ৭৫ রান করেন।