শিরোনাম
বাংলাদেশের নাড়ী-নক্ষত্র সব মুখস্থ। এ আঙিনা যেন তাদের নিজের বাড়ির মতো চেনা! এমনটাই মনে হচ্ছে আফগান ওয়ানডে অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদির কথা শুনে।
চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম ওয়ানডের আগের দিন আফগান অধিনায়ক কেবল ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে একটি ব্যাপারই বোঝাতে চাইলেন-এখানকার সবকিছু তাদের কাছে ভীষণ পরিচিত। আর সেই সুবিধা কাজে লাগিয়েই মরণকামড় দিতে প্রস্তুত সফরকারীরা।
বাংলাদেশের কোন কোন খেলোয়াড় হুমকি হতে পারেন? এই প্রশ্নে শহিদির জবাব ছিল অনেকটাই নির্লিপ্ত। বললেন, ‘সত্যি করে বলতে আমরা তাদের পুরো দল নিয়েই ভাবছি। তাদের নিয়ে পরিকল্পনাটা ভেতরের। তাদের সবার জন্যই আমাদের পরিকল্পনা আছে। আমরা তো তাদের শক্তিমত্তা আর দুর্বলতা জানিই।’
সিরিজ শুরুর আগে প্রস্তুতিটা দুর্দান্ত হয়েছে। কাতারে অনুশীলনের পর সিলেটে এসে ছয়দিনের ক্যাম্প করেছে আফগানিস্তান। তাই প্রস্তুতির ঘাটতি দেখছেন না শহিদি।
তিনি বলেন, ‘আমরা সিলেটে আসার আগে কাতারে অনুশীলন করে এসেছি। যা দরকার সব প্রস্তুতিই সেরেছি। ছয়দিন সিলেটে ছিলাম। আমরা তাই প্রস্তুত, নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’
সফরের আগে হঠাৎ বাংলাদেশের সাবেক হেড কোচ স্টুয়ার্ট ল’কে নিয়োগ দিয়েছে আফগানিস্তান। তাকে অন্তর্বতীকালীন হেড কোচ বানিয়ে কি ফায়দা হাসিল করতে চায় আফগানরা, জানিয়েই দিলেন শহিদি।
‘সব জানি’ - এমন ভাব নিয়ে বললেন কোচ প্রসঙ্গেও। শহিদির কথা, ‘তিনি (ল) সব কিছু জানেন (বাংলাদেশ সম্পর্কে)। পিচ আর মাঠ সম্পর্কে তিনি যা জানেন, আমাদের বলেছেন। আমি সেটা অনুসরণ করব।’
বাংলাদেশের বিপদ আছে আরও একটা। আফগানিস্তানের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার এবার খেলেছেন বিপিএলে। মুজিব উর রহমান, নাজিবুল্লাহ জাদরান, ফজল হক ফারুকি আছেন ওয়ানডে দলে। টি-টোয়েন্টি দলে আবার যোগ হবেন করিম জানাত, ফজল হক ফারুকি, কায়েস আহমেদরা।
বিপিএলের অভিজ্ঞতা এবারের সফরে বেশ কাজে দেবে, মনে করছেন শহিদি। আফগান ওয়ানডে অধিনায়কের কথা, ‘বেশ কাজে দেবে (বিপিএল)। আমরা সবাই বাংলাদেশে খেলেছি। স্কোয়াডে থাকা অনেক খেলোয়াড়েরই বিপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। এটা আমাদের সুবিধা দেবে, উইকেট মাঠ এবং সবকিছুর ব্যাপারেই।’