শিরোনাম
প্রায় সাত মাস পর ওয়ানডে খেলতে নামছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) শুরু হচ্ছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ হওয়ায় অন্য সাধারণ সিরিজের চেয়ে বেশি গুরুত্ব এই সিরিজটির।
প্রতিপক্ষ বিবেচনায় আফগানিস্তান সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং। কেননা রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, মোহাম্মদ নবিদের নিয়ে গড়া আফগান স্পিন আক্রমণ উপমহাদেশে যেকোনো দলের জন্যই মাথাব্যথার কারণ। তবে সব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে অন্তত সিরিজ জেতার লক্ষ্য বাংলাদেশ দলের।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জিতলেই বিশ্বকাপ সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলে এক নম্বরে উঠে যাবে তামিম ইকবালের দল। আর হোয়াইটওয়াশ করে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতলে আইসিসি ওয়ানডে র্যাংকিংয়েও উন্নতি হবে টাইগারদের।
বর্তমানে বিশ্বকাপ সুপার লিগে ১৫ ম্যাচে ৯৫ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে রয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। তাদের ঠিক পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। টাইগাররা ১২ ম্যাচ খেলে পেয়েছে ৮০ পয়েন্ট। সমান ১২ ম্যাচ খেলে ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে ভারত।
এখন আফগানিস্তানের বিপক্ষে অন্তত দুই ম্যাচ জিতলেই ২০ পয়েন্ট পাবে বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে ১০০ পয়েন্ট নিয়ে ইংল্যান্ডকে টপকে এক নম্বরে উঠে যাবে টাইগাররা। আর তিন ম্যাচই জিতে গেলে ১১০ পয়েন্ট নিয়ে অনেকটাই এগিয়ে যাবে স্বাগতিক দলটি।
অন্যদিকে তিন ম্যাচ জিতে প্রথমবারের মতো আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ পেলে আইসিসি ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে ছয় নম্বরে উঠে যাবে বাংলাদেশ। বর্তমানে ৯১ রেটিং নিয়ে সাত নম্বরে আছে তারা। তিন ম্যাচ জিতলে ৯৪ পয়েন্ট নিয়ে উঠে যাবে ছয়ে। ফলে সাতে নামবে ৯৩ রেটিং থাকা পাকিস্তান।
তবে দুই ম্যাচ জিতে সিরিজের ট্রফি পেলেও আইসিসি র্যাংকিংয়ে কোনো পরিবর্তন হবে না বাংলাদেশের। সিরিজের ফল ২-১ হলে বাংলাদেশের রেটিং থেকে যাবে ৯১-ই, থেকে যাবে সাতেই। তবে ২-১ হলে আফগানিস্তান পাবে একটি রেটিং পয়েন্ট, ৬৮ রেটিং নিয়ে দশেই থেকে যাবে তারা।
অবশ্য সব চালচিত্র বদলে দিয়ে আফগানিস্তান যদি ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে যায় তাহলে বাংলাদেশ খোয়াবে তিনটি রেটিং পয়েন্ট। আর সিরিজের সব ম্যাচ হারলে বাংলাদেশের রেটিং কমে ৮৫ হয়ে যাবে। আর আফগানিস্তানের ৬৭ থেকে বেড়ে হবে ৭৬। তবে দুই দলই নিজেদের বর্তমান অবস্থানে অনড় থাকবে।