শিরোনাম
ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহ শুধু জৈবিক প্রয়োজন পূরণের মাধ্যম নয়- বরং একটি মহান ইবাদত। এটি ধর্মীয় অনুশাসন ও রিচুয়ালের অন্যতম অংশ। বিয়ে ছাড়াও এই পর্বে নান ধরনের প্রশ্ন-উত্তর রয়েছে।
প্রশ্ন : ‘বিবাহিতদের এক রাকাত নামাজ অবিবাহিতদের ৮২ রাকাত থেকে উত্তম’— এটা কি হাদিস? এ বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি কী?
উত্তর : বিবাহিত ব্যক্তির সাধারণ ফজিলত সম্পর্কে অনেক সহিহ হাদিস আছে। তবে বিবাহিত ব্যক্তির নামাজ অবিবাহিত ব্যক্তির নামাজ অপেক্ষা উত্তম-এ ধরনের কোনো সহিহ হাদিস পাওয়া যায়নি। প্রশ্নে বর্ণিত হাদিসটিকে হাদিসবিদরা ভিত্তিহীন বলেছেন। (মিজানুল ইতিদাল : ৪/১০০, লিসানুল মিজান : ৬/২৭, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ২/২০০)
প্রশ্ন : বিয়ে না করার কারণে কি কবরে কঠিন শাস্তি হবে?
উত্তর : অবিবাহিত থাকলে কবরে শাস্তি হবে কেন? অবিবাহিত থাকা জায়েজ আছে। এটি না জায়েজ কিছু নয়। কেউ যদি বিবাহ না করেন, তাহলে তিনি গুনাহগার হবেন না। তবে, নারীদের উচিত বিবাহ করা। বিয়ে তাদের জন্য অবলম্বন। তাই তাদের জন্য উত্তম হলো বিয়ে করা, যেহেতু অবলম্বনের ব্যাপার রয়েছে। অবলম্বন না থাকলে তার জীবন কিছুটা কঠিন হবে। সামাজিকভাবে কঠিন হয়ে যাবে। তাই উত্তম হলো তাদের বিয়ে করা। কারণ, এটি তাদের অবলম্বনের সঙ্গে জড়িত। তাই তাদের জন্য এটি না জায়েজ। তবে, পুরুষের জন্য না জায়েজ কিছু না। বিয়ে করা পুরুষদের জন্য সুন্নাহ অবশ্যই।
প্রশ্ন : রাসুল (সা.)-এর গুণবাচক নাম শুনলে বা পড়লে দরুর পড়তে হয়?
উত্তর : যেসব গুণবাচক নাম দ্বারা একমাত্র রাসুল (সা.)-কেই বোঝানো হয়, সেসব গুণবাচক নাম পড়লে বা শুনলেও দরুদ পড়া ওয়াজিব। যেমন: রাসুল, নবী করিম (সা.) ইত্যাদি। (উমদাতুল কারি : ১৬/৯৬, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ২/২৯১)
প্রশ্ন : ইসলাম তালাক সমর্থন করে?
উত্তর: হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহতায়ালার কাছে সবচেয়ে অপ্রিয় হালাল বস্তু হচ্ছে তালাক।’ –সুনানে আবু দাউদ: ২১৭৭
প্রশ্ন: মুশরিক নারীদের বিয়ে করা নিয়ে কী বলে ইসলাম?
আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেছেন, তোমরা মুশরিক নারীদেরকে বিয়ে করোনা, যতক্ষণ না তারা ঈমান গ্রহণ করে। ইসলাম গ্রহনকারী ক্রীতদাসীও মুশরিক নারী অপেক্ষা উত্তম, যদিও তাদেরকে (মুশরিক রমনী) তোমাদের কাছে ভালো লাগে।
সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ