শিরোনাম
দেশে ভয়াবহ অবস্থা চলছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুজন মন্ত্রী রয়েছেন তারা প্রতিনিয়ত বিএনপিকে নিয়ে মিথ্যাচারে লিপ্ত থাকেন। একজন সেতুমন্ত্রী অন্যজন তথ্যমন্ত্রী। উনারা এমনভাবে কথা বলেন যেন, শুনলে মনে হয় একই কলের গান, একই রেকর্ড বাজাচ্ছেন। তাদের মূলকথা বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, বিএনপি নাই। তাদের প্রশ্ন করতে চাই বিএনপিকে নিয়ে আপনারা এত ভীতু কেন? ভয় পান কেন? বিএনপি গণতন্ত্র ধ্বংস করেনি, গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ অতীতেও করেছে এখনো করছে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত বিএনপির জাতীয় রচনা প্রতিযোগিতার ফলাফল অনুষ্ঠানে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় এ প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটিতে নাম না দেওয়া প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে, তাদের অধীনে নির্বাচনের ওপর মানুষের আস্থা চলে গেছে। নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি মানে হচ্ছে জনগণের সঙ্গে আরেকটি প্রতারণা। বিগত দিনে তারা ক্ষমতা ধরে রাখতে তাদের লোক দ্বারা সার্চ কমিটি, নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিল পরবর্তীতে নির্বাচনের পর তারা বলেছেন আমরাই জিতেছি, গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে।
তিনি বলেন, স্পষ্ট করে বলছি এদেশের জনগণ আর আওয়ামী লীগের ফাঁদে পা দেবে না এবং গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য আওয়ামী লীগের সকল পরিকল্পনা ধ্বংস করে দেবে। অতীতের ঐতিহ্য নিয়ে জনগণ স্বাধীনতাবিরোধী, গণতন্ত্র হত্যাকারী ও মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থানকারীদের রুখে দেবে। তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করে নির্বাচন কমিশন গঠন করবে এবং সেই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সংসদ প্রতিষ্ঠা করতে ঐক্যবদ্ধ।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ভাবনাটাই এমন যে শুধু একজন ব্যক্তি দেশ স্বাধীন করেছেন, দেশের যা কিছু ভালো তা তিনি শুধু একাই করেছেন, যা সম্পূর্ণ ইতিহাস বিকৃতির ছাড়া আর কিছু নয়। তারা সচেতনভাবেই ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করছেন অথচ জিয়াউর রহমান মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধ শুরু করেছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, শুধু রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে এমন একটি দল বা শক্তি এখন ক্ষমতায় বসে আছে যারা স্বাধীনতার স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ করে দিয়েছে। স্বাধীনতার পর তারা যে কাজগুলো করেছিল আজও ১৫ বছর ধরে তারা সেই একই কাজ করছে, তখন একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে ছিল আজ আবার একটা লেবাস লাগিয়ে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে যাচ্ছে। তারা সুপরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ও মৌলিক অধিকার থেকে দেশের মানুষকে বঞ্চিত করছে, লুটপাটের অর্থনীতি চালু করেছে যদিও এটা তাদের মজ্জাগত বিষয়, দুর্নীতিতে তাদের কোনো লজ্জা নেই।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির তীব্র সমালোচনা করেন বিএনপির মহাসচিব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ইউসুফ হায়দার প্রমুখ।
সূত্র: জাগো নিউজ