‌জিয়া-এরশাদ-বেগম জিয়া কেউই সমুদ্রসীমা অর্জনের বিষয়ে কোনো কাজ করেনি: প্রধানমন্ত্রী

ফানাম নিউজ
  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১:৩৬
আপডেট  : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২৩:০৮

জিয়া-এরশাদ-বেগম জিয়া কেউই সমুদ্রসীমা অর্জনের বিষয়ে কোনো কাজ করেনি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অতীতে জিয়া-এরশাদ-বেগম জিয়া কেউই সমুদ্রসীমা অর্জনের বিষয়ে কোনো কাজ করেনি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমাদের সমুদ্রসীমায় যে অধিকার রয়েছে, তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে সেই অধিকার আমরা প্রতিষ্ঠিত করি। আমরা মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই আমাদের সমুদ্রসীমা নির্দিষ্ট করতে সক্ষম হয়েছি। সমুদ্রে আমাদের যে সম্পদ রয়েছে আমরা চাই তা আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখুক। সমুদ্রসীমার সম্পদ দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজে লাগাতে চায় সরকার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “নদীমাতৃক বাংলাদেশের নিরাপত্তা রক্ষা করার জন্য, কোস্টগার্ডের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কোস্ট গার্ডকে আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য সরকার কাজ করছে।”

তিনি বলেন, বাহিনীটিতে ১৫ হাজার জনবল অর্জনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষিত করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করার সুযোগ তৈরি করেছে সরকার। বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে আধুনিক ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে খুব শিগগিরই এ বাহিনীতে উন্নত প্রযুক্তির জাহাজ, হোভ্যারক্র্যাফট ও দ্রুতগতিসম্পন্ন বোট যুক্ত হতে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির পক্ষ থেকে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মনোনীতদের পদক তুলে দেন।

উন্নয়ন, সাহসী অপারেশন ও সেবামূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পদক পেলেন কোস্ট গার্ডের ৪০ সদস্য।

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পদক, প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড পদক, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড (সেবা) পদক ও প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড (সেবা) নামে চার ক্যাটাগরিতে এ ৪০ জনকে এসব পদক দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বর্তমানে দেশের বিশাল সমুদ্র ও উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ন অবদান রেখে চলেছে। দেশের সমুদ্রসীমা ও উপকূলীয় এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণ, জনগণের জানমাল রক্ষা, চোরাচালান, মাদক ও মানব পাচার দমনের পাশাপাশি নানাবিধ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ ও সহায়তা প্রদানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড মানুষের মাঝে নিরাপত্তা ও আস্থার অর্জন করেছে। এছাড়াও কোস্ট গার্ডের নিরলস প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম বন্দর ঝুঁকিপূর্ণ বন্দরের তালিকা থেকে বের হয়ে একটি নিরাপদ বন্দরে পরিণত হয়েছে।