শিরোনাম
বিএনপির সাবেক নেতা আবুল হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণ চেয়ে সিআইডিকে চিঠি দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। তথ্য-প্রমাণ পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে থাকা ইন্টারপোলের রেড নোটিশ প্রত্যাহারের জন্য সংস্থাটিকে চিঠি পাঠানো হবে। কারণ মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে রেড নোটিশ চালু রেখে লাভ নেই।
শনিবার পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সহকারী মহাপুলিশ পরিদর্শক (এআইজিপি) মহিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের সঙ্গে কাজ করে। কারো বিষয়ে রেড নোটিশ জারি কিংবা প্রত্যাহারের বিষয়টিও তারাই তদারকি করেন। তারা বলছেন, রেড নোটিশ প্রত্যাহারের আগে হারিছের মৃত্যুর সঠিক তথ্য-প্রমাণ দরকার। তাই সিআইডিকে এ বিষয়ে দ্রুত লিখিত তথ্য দিতে বলা হয়েছে।
মহিউল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমরা দেখেছি হারিছ চৌধুরী মারা গেছেন। তাই আমরা পুলিশের অপারেশনাল ইউনিট সিআইডির কাছে তার মৃত্যুর সত্যতা জানতে চেয়েছি। তিনি মারা গেছেন কিনা, তা জানাতে বলেছি। তাদের অনুরোধেই হারিছ চৌধুরীর ইন্টারপোলে রেড নোটিশ চাওয়া হয়েছিল।
গত ১১ জানুয়ারি দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে হারিছ চৌধুরীর চাচাত ভাই আশিক চৌধুরীর বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ও বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী যুক্তরাজ্যে মারা যান। এরপর হারিছ চৌধুরীর মেয়ের বরাত দিয়ে কোনো কোনো গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করেন, তিনি (হারিছ) করোনা আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলাসহ একাধিক মামলার অভিযুক্ত আসামি ছিলেন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রভাবশালী নেতা সিলেটের হারিছ চৌধুরী। ওই হামলা মামলার চার্জশিটেও অভিযুক্ত আসামি ছিলেন হারিছ চৌধুরী। অভিযোগপত্রে তাকে পলাতক দেখানো হয়। ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার পর হারিছ চৌধুরী গা ঢাকা দেন।
সূত্র: যুগান্তর