শিরোনাম
যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের ব্যয়ের বিষয়টি নির্বাচন কমিশন (ইসি) সভায় উঠতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় কমিশনের বৈঠকের এজেন্ডায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের দেওয়া চিঠি উপস্থাপন করবে ইসি সচিবালয়। এটি ছাড়া আরও তিনটি এজেন্ডা রয়েছে ওই সভায়। ইসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, চিঠিটি কমিশন সভায় উপস্থাপন করা হবে। কমিশন সভা থেকে যে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
জানা গেছে, কমিশন সভায় চারটি নির্দিষ্ট এজেন্ডা রাখা হয়েছে। এর তিন নম্বর এজেন্ডায় বিএনপির লবিস্ট নিয়োগ বিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর চিঠির বিষয়টি রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কর্তৃক বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যয় বিবরণী নির্বাচন কমিশনে দাখিলকৃত অডিট রিপোর্টে উল্লেখ না করলে এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া সংক্রান্ত পত্রের বিষয় কমিশনে উপস্থাপন।’
এছাড়া বৈঠকে মুক্তিযোদ্ধাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত স্মার্ট এনআইডি হস্তান্তরে রাজধানীতে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠান আয়োজন। আরপিওর ইংরেজি ও বাংলা পাঠ এবং নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইনের বই আকারে প্রকাশ এজেন্ডায় রয়েছে।
১৯ জানুয়ারি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম নির্বাচন কমিশন ও বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান। শাহরিয়ার আলম বলেন, বিএনপি বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগে যে চুক্তি করেছে, সেসব চুক্তির কপি নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। কেননা প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে দাখিল করতে হয়। বিএনপি নির্বাচন কমিশনে এ অর্থের হিসাব দাখিল করেছে কিনা কমিশনকে খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছেও চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিএনপি চুক্তির জন্য বিদেশে যে অর্থ পাঠিয়েছে, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো অনুমোদন রয়েছে কিনা যাচাই করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
শাহরিয়ার আলম জানিয়েছিলেন, বিএনপি-জামায়াত বিদেশি লবিস্ট নিয়োগে ৮টি চুক্তি করেছে। এর মধ্যে তিনটি চুক্তি করেছে বিএনপি। এই তিন চুক্তিতে বিএনপি ৩ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। বিএনপি অফিসের ঠিকানাও চুক্তির কপিতে উল্লেখ করা হয়েছে। জামায়াতের চুক্তির কপিতে প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা দেওয়া নেই। তবে চুক্তির কপিতে তাদের নাম রয়েছে। প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে তারা চুক্তি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আইনে এসব চুক্তির অনুমোদন রয়েছে। তবে এ চুক্তির অর্থ কীভাবে এলো, আমরা সে বিষয়ে খতিয়ে দেখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানাই।
সূত্র: যুগান্তর