শিরোনাম
এমপি একরামকে বহিষ্কারের ক্ষমতা আমাদের নাই উল্লেখ করে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক অধ্যক্ষ খায়রুল আ ন ম চৌধুরী সেলিম বলেছেন, এমপি একরামুল করিম চৌধুরীকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদে থেকে অব্যাহতি দিলেও তার প্রাথমিক সদস্য পদ থাকবে কিনা, সে সিদ্ধান্ত নেবেন দলীয় সভানেত্রী। আমরা তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো চুলচেরা বিশ্লেষণ করে জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছি। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়েছে। তাই শনিবারের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলীয় নেত্রী বরাবর পাঠানো হয়েছে। কারণ তাকে বহিষ্কারের ক্ষমতা আমাদের নেই। এটা দলীয় সভাপতির হাতে।
তিনি দাবি করেন, এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা ওবায়দুল কাদেরকে জানিয়েই করা হয়েছে।
একরামুল করিম চৌধুরী নোয়াখালী-৪ আসন থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত এমপি। এছাড়া ১৭ বছর টানা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
শুক্রবার বিকালে জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির এক সভায় তার বিরুদ্ধে নোয়াখালী পৌরসভাসহ সদর ও কবিরহাট উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে নৌকার কয়েকজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ এনে তাকে জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য পদে থেকে অব্যাহতি দিয়ে তার প্রাথমিক সদস্য পদ বাতিলের জন্য দলীয় সভানেত্রী বরাবর রেজুলেশন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, এ সিদ্ধান্ত হঠাৎ নয়, সভার এজেন্ডার আলোকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একরামুল করিম কোথায় কি বক্তব্য রাখছিলেন তার পুরো রেকর্ডপত্র, অডিও, ভিডিও ওবায়দুল কাদেরের কাছে পাঠানো হয়েছে।
একরামুল করিম চৌধুরী এত টাকার মালিক কোত্থেকে হলেন- এমন প্রশ্ন করে অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন রোববার সুবর্ণচরে এক সভায় বলেন, যে নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি হয়ে কাড়ি কাড়ি টাকার মালিক হলেন, সেই নৌকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন, টাকা ঢালছেন তার হিসাব মেলাতে হবে। তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দেন।
উল্লেখ্য, একরামুল করিম চৌধুরীর স্ত্রী পরপর দুইবার কবিরহাট উপজেলার চেয়ারম্যান, তার ভাগিনা দুইবার কবিরহাট পৌরসভার মেয়র, চাচাতো ভাই তার নিজের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তাকে হারিয়ে এবার নিজের ভাইকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন।
এর আগে তার নিজ ইউনিয়ন কবিরহাটের সুন্দরপুর ইউনিয়নে স্বাধীনতার পর তার বীর মুক্তিযোদ্ধা পিতা, তার দুই চাচা চেয়ারম্যান ছিলেন। কবিরহাট পৌরসভা গঠিত হওয়ার পর তার পিতা প্রথমে প্রশাসক ও পরবর্তীতে নির্বাচিত মেয়র ছিলেন।
ফুটবলার ব্যবসায়ী একরাম চৌধুরী ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন না পেয়ে নোয়াখালী-৫ (কোম্পানিগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে ওবায়দুল কাদের ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের বিরুদ্ধে সদর পূর্বাঞ্চল ঐক্য পরিষদের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নেন। ওই সময় তিনি ওবায়দুল কাদেরের কাছাকাছি ৩৪ হাজার ভোট পান। সেই নির্বাচনে এই দুজনের অধিক ভোট পেয়ে মওদুদ আহমদ জয়লাভ করেন।