শিরোনাম
পত্রিকায় পরীমনি, খুকুমনি, দীপু মনি আর রুকুমনিদের কাহিনি পড়ে দেশের নতুন প্রজন্ম হতাশ বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরাম দলীয় সংসদ সদস্য সুলতান মুহম্মদ মনসুর আহমেদ। তিনি বলেছেন, নেতৃত্ব ও সমাজ দূষিত করার জন্য পরীমনি আর খুকুমনিদের লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
গতকাল জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
নিজের রাজনৈতিক অবস্থানের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সুলতান মনসুর বলেন, আমার রাজনৈতিক অবস্থান এক রকম। বিশ্বাস এক রকম। বর্তমান অবস্থান এক রকম। সব মিলিয়ে আমাকে ইতিহাসের পক্ষে কথা বলতে হবে। বঙ্গবন্ধুর পক্ষে কথা বলতে হবে।
২০২২ সাল রাজনীতির জন্য সংকটকাল হবে উল্লেখ করে এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান মনসুর বলেন, ২০২২ সাল ওমিক্রনের জন্য যেমন অত্যন্ত সংকটকাল, আমি মনে করি রাজনীতির জন্যও হবে সংকটকাল। সংসদ নেত্রী এই বিষয়টি আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
তিনি বলেন, রাজনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে রাজনীতিবিদদেরই। কিন্তু পরীমনি, খুকুমনি, দীপু মনি আর রুকুমনিদের কাহিনি পত্রিকায় পড়লে বাংলাদেশের বর্তমান নতুন প্রজন্ম হতাশ হয়। যেন নেতৃত্ব ও সমাজ দূষিত হয় তার জন্য লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে পরীমনি আর খুকুমনিদের। এটি একটি ষড়যন্ত্র।
ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মনসুর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হলেও সংস্কারপন্থি হওয়ার প্রেক্ষাপটে আলোচিত ওয়ান/ইলেভেনের সময় দলটি থেকে ছিটকে পড়েন। এক যুগ ধরে তিনি সরকারের নানা সমালোচনা করেছেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে গণফোরামের মনোনয়ন পেয়ে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ইদানীং তাকে সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করতে দেখা যায়।
মনসুর তার বক্তব্যে বলেন, শেখ হাসিনা ধারাবাহিক প্রধানমন্ত্রী থাকার মধ্য দিয়ে যে উন্নয়নের জোয়ার সৃষ্টি করেছেন, সেই উন্নয়নে বাধা সৃষ্টির জন্য অনেকে এদেশে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।