আওয়ামী লীগ আর করোনার মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই: রিজভী

ফানাম নিউজ
  ১০ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:১২

বিএন‌পির সি‌নিয়র যুগ্ম মহাস‌চিব রুহুল ক‌বির রিজভী বলেছেন, ‘শেখ হা‌সিনা জনগণের চোখে ধুলো দেয়ার জন্য, দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে নেয়ার তামাশা করছেন। রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে তিনি সংলাপও ডাকাচ্ছেন। আর সংলাপের নামে রাষ্ট্রপতি হকারগিরি করছেন।’ সূত্র: যুগান্তর

সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লা‌বের সাম‌নে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তি‌নি এসব কথা ব‌লেন। বিএফইউজের সাবেক সভাপতি  রুহুল আমিন গাজীর মুক্তির দাবিতে বাংলা‌দেশ ফেডা‌রেল সাংবাদিক ইউ‌নিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবা‌দিক ইউ‌নিয়‌ন-ডিইউজের উদ্যোগে এই সমাবেশ হয়। 

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ আর করোনার মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই। করোনা যেমন রুপান্তর হচ্ছে আওয়ামী লীগও নিজে রুপান্তর ঘটায়। এই দুইটি মানুষের জীবন কেড়ে নেয়। আওয়ামী লীগও মানুষের জীবন কেড়ে নেয়, করোনাও মানুষের জীবন কেড়ে নেয়। আজকে বাংলাদেশের জীবন কাড়ার এক রাষ্ট্র ব্যবস্থা করেছে এই নব্য বাকশালী আওয়ামী লীগ। তারা চেষ্টা করছে বাংলাদেশ থেকে অপজিশন কণ্ঠস্বরকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করার জন্য। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা কারনে কারাগারে আটকে রেখেছে। যে মামলায় কোন সত্যতা নাই, কোন প্রমান নাই, কোনভাবে প্রমান করতে পারেননি, শেখ হাসিনা শুধু গায়ের জোরে বন্ধী করে বিনা চিকিৎসায় তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।  

বিএনপির এই নেতা বরেন, আল্টিমেটলি যে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে সেখানে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক প্রতিফলন ঘটবে। তারা একটা তামাশা করে যাচ্ছে। হকারের সেই চমকপ্রদ কাহিনী ফাঁদতে চেষ্টা করছেন। কারন প্রত্যেকটার পিছনেই তার ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার চিরদিন টিকে থাকার জন্য যা কিছু করার তিনি সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেটা আর লাভ হবে না। বাংলাদেশের মানুষ তো জানেই আস্তে আস্তে বিশ্বের কাছে সরকারের বোরখা খুলতে শুরু করেছে। আমি বলবো প্রধানমন্ত্রীকে আপনার সরকারের সেই বোরখা সম্পূর্ণ খোলার আগে পদত্যাগ করুন। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তিদিন, তাকে সুচিকিৎসার সুযোগ দিন। রুহুল আমিন গাজীকে মুক্তি দিন। তা নাহলে যখন সব কিছু উন্মোচন হয়ে যাবে তখন পালিয়েও নিজের মুখ আর ঢাকতে পারবেন না।

রিজভী বলেন, হাইকোর্টের বিচার নিয়ে অনেকেই বলেন, বিচার তো হবেই। কিন্তু কিভাবে ন্যায় বিচার হবে? কয়েকদিন আগে ১৯ জনকে টপকিয়ে আপিল ডিভিশনে বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কারণ তাদের বিশ্বস্ত লোক হাইকোর্টে দরকার। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। এই কারণে এ ধরনের বেআইনি কাজ তারা করছে।

বিএফইউজে'র সভাপতি এম আবদুল্লাহ'র সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন- বিএফইউজের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বর্তমান মহাসচিব নুরুর আমিন রোকন, ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাকের হোসাইন, সহ-সভাপতি শাহীন হাসনাত, বাছির জামাল ও রাশেদুল হক, বিএফইউজের কোষাধ্যক্ষ খায়রুল বাশার, সাবেক দফতর সম্পাদক আবু ইউসুফ, ডিইউজের দফতর সম্পাদক ডি এম আমিরুল ইসলাম অমর, বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য আব্দুস সেলিম, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন ইবনে মঈন চৌধুরী প্রমুখ। 

সমাবেশে সঞ্চালনা করেন- ডিইউজের সাংগঠিনক সম্পাদক দিদারুল আলম ও প্রচার সম্পাদক খন্দকার আলমগীর হোসাইন। 

এছাড়া সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউ'র সাবেক সভাপতি মোরসালিন নোমানী, বিএফইউজের দফতর সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ, নির্বাহী সদস্য একেএম মহসিন ও জাকির হোসেন, ডিইউজের যুগ্ম সম্পাদক শাহজাহান সাজু, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক (গাজী আনোয়ার), জনকল্যাণ সম্পাদক দেওয়ান মাসুদা সুলতানা, নির্বাহী সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম, জেসমিন জুঁই, আব্দুল হালিম প্রমুখ।