শিরোনাম
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় পার্টির নেতারা। সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে এই বৈঠক হয়। সূত্র: যুগান্তর
সোমবার বেলা ১১টার দিকে পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপির নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে যায়।
সাত সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদলে ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা আক্তার এমপি, তাজ রহমান প্রমুখ।
নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কী কথা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, আমরা তাকে বলেছি— গত ৫ বছর বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত করেছেন। টাঙ্গাইলের উপনির্বাচন হবে আপনাদের এই মেয়াদের শেষ নির্বাচন। আপনাদের বিদায় বেলায় টাঙ্গাইলে মির্জাপুরের নির্বাচনটা যাতে সুষ্ঠু হয়ে সে ব্যবস্থা করবেন, আমরা এটা আশা করি। বিশেষ করে শাসক দলের পক্ষ হয়ে যাতে প্রশাসন কাজ না করে সে ব্যবস্থা করবেন। মানুষ যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা করবেন।
চুন্নু বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, তার বিদায়বেলায় মানুষ যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে তিনি সে ব্যবস্থা করবেন।
তিনি বলেন, একজন নির্বাচন কমিশনার এককভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারে না। এর জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
চুন্নু বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের দাবি করেছেন, নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার জন্য। নির্বাচন কমিশনের কথা যাতে সবাই শোনে সে ব্যবস্থা করার কথা বলেছেন। যদি না শোনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে তার জন্য আইন করার কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, মির্জাপুরে উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টি জহিরুল ইসলামকে মনোনয়ন দিয়েছে। আশঙ্ক ছিল যে, নির্বাচন হবে সেটি ফেয়ার হবে কিনা। গত কয়েক মাসে যে নির্বাচন হয়েছে, বিশেষ করে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন। সেটি নির্বাচনের নামে নৈরাজ্য হয়েছিল।
মির্জাপুরের উপনির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করে জাপা মহাসচিব বলেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন তখনই সম্ভব, যখন ক্ষমতাসীন দল সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। আমরা দেখেছি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের নামে দেশে নৈরাজ্য পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় আসন্ন মির্জাপুরের উপনির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে আমাদের সংশয় রয়েছে।