শিরোনাম
পঞ্চম ধাপে ৭০৮ ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ভোটগ্রহণ চলছে। বুধবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়; একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
এদিকে ৭০৮ ইউনিয়নের মধ্যে ৪০টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হচ্ছে; বাকিগুলোতে কাগজের ব্যালটে ভোট হবে।
সূত্র জানায়, পঞ্চম ধাপে ৪৮ জেলার ৯৫ উপজেলায় ভোট হবে। ১৯ জেলার ৩১ উপজেলায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিন জেলায় ম্যাজিস্ট্রেট এবং বিজিবি ও র্যা বের বাড়তি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে—চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া ও নওগাঁর পত্নীতলা।
এ ছাড়া বাড়তি ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে— নীলফামারীর ডোমার, ফরিদপুরের মধুখালী ও সদরপুর, গাইবান্ধার সাঘাটা ও ফুলছড়ি, শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী, হবিগঞ্জের মাধবপুর ও চুনারুঘাট, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট, চান্দিনা ও লালমাই এবং গাজীপুরের শ্রীপুরে। এ ছাড়া র্যা ব ও বিজিবির বাড়তি সদস্য বাড়ানো হয়েছে সাতক্ষীরার আশাশুনি, শ্যামনগর ও কলারোয়া, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ, হাইমচর ও কচুয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর ও আশুগঞ্জ, জামালপুরের বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ, চট্টগ্রামের বোয়ালখালী ও চন্দনাইশ, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর ও দৌলতপুর এবং ভোলা সদরে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এ ধাপের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ছাড়াও দলটির বিপুলসংখ্যক বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। ক্ষমতাসীন দলের একাধিক প্রার্থী মাঠে থাকায় সহিংসতার শঙ্কাও রয়েছে। এসব বিবেচনায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। যদিও ৪৮ চেয়ারম্যানসহ ১৯৩ জন জনপ্রতিনিধি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। তাদের মধ্যে সংরক্ষিত সদস্য ৩৩ এবং সাধারণ সদস্য ১১২ জন। বাকি পদগুলোতে ভোট হচ্ছে।
জানা গেছে, পঞ্চম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৬ হাজার ৪৫৭ প্রার্থী। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান ৩ হাজার ২৭৪ জন, সংরক্ষিত সদস্য সাত হাজার ৯৫০ এবং সাধারণ সদস্য ৩৯ হাজার ৩৯১ জন। এ ধাপে মোট ভোটার সংখ্যা ১ কোটি ৪২ লাখ ২০ হাজার ১৯৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৬৮ লাখ ৩৬ হাজার ৩১ জন ও পুরুষ ৭০ লাখ ৬০ হাজার ১৪০ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ২১ জন।