শিরোনাম
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ঘোষণায় সেদিন যারা হেসেছিল আজ তারা মুখ লুকায়। তাদের সেই প্রস্ফুটিত চেহারা এখন আর দেখা যায় না।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ মিলনায়তনে বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশকে ‘দিনবদলের সনদ’ উল্লেখ করে মেয়র তাপস বলেন, দীর্ঘ ১১ মাস কারারুদ্ধ থাকা অবস্থায় জননেত্রী শেখ হাসিনা লিখলেন, ‘দিনবদলের সনদ’। আজ এখানে যারা শিক্ষার্থী আছেন তাদের সামনে ২০০৮ সালের সেই বিভীষিকাময়-কলুষিত বাংলাদেশ নেই। পতাকা নিয়ে যুদ্ধাপরাধীরা ঘুরে বেড়াত আর মুক্তিযোদ্ধারা সেই গ্লানি নিয়ে চলতেন- সেটাও আজ নেই। আজ এই মাটিতে যুদ্ধাপরাধের বিচার সম্পন্ন হচ্ছে।
নিজের ৫০ বছর বয়সে দাঁড়িয়ে দেশের স্বাধীনতা ও বিজয়ের ৫০ বছর উদযাপন আনন্দদায়ক হলেও মুক্তিযুদ্ধকালীন বাবা-মায়ের দুঃসহ দিনের কথা স্মরণ করেন মেয়র শেখ তাপস।
তিনি বলেন, আমার মা আমাকে পেটে ধারণ করে জীবন বাঁচানোর জন্য একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে গেছেন। বাবা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতেই বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে চলে গেলেন মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করার জন্য, গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য। মা টুঙ্গিপাড়ায় কিছুদিন পালিয়ে ছিলেন। সেখানে পাকিস্তানিরা হানা দিলো, পুড়িয়ে দিলো সবকিছু। সেখান থেকে পালিয়ে আমরা গেলাম বরিশালে। সেখানেও হানা দিলো, পুড়িয়ে দিলো। তারপরে আরেক জায়গায় পালালাম। এভাবে পালাতে পালাতে বাবা লোক পাঠিয়ে আমাদের আগরতলায় নিয়ে গেলেন। সুতরাং ১৯৭১ সালে ১৯ নভেম্বর শরণার্থী হিসেবেই আমার জন্মগ্রহণ।'
আলোচনা সভা শেষে একাদশ শ্রেণির ১২ জন শিক্ষার্থীর মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এরপর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাহমিনা হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডিএসসিসির সচিব আকরামুজ্জামান, ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ সেলিম, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হায়দার আলীসহ কলেজের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।