শিরোনাম
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নামা ছাড়া বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, আইনের শাসন বলতে কিছুই অবশিষ্ট নেই। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে তখনকার ছাত্র যুবক, তরুণরা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ স্বাধীন করেছিল। তেমনি আজকের তরুণ সমাজকেও আওয়ামী সরকারকে পরাজিত করে দেশে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাহলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে, জনগণ তার ভোটাধিকার ও আইনের শাসন ফিরে পাবে।
শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিজয় শোভাযাত্রা শেষে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা তুলে ধরে বিএনপির এ নেতা বলেন, নেত্রী দীর্ঘ নয় বছর আপোষহীনভাবে রাজপথে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটিয়েছেন। পরে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন, নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে সংযোজন করেছেন। সেই নেত্রী আজ কেমন আছেন, সবাই জানেন। কেন তিনি চিকিৎসা পাবেন না। রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে তাকে মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে নেওয়া হয়, এখন তিনি হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তার দেশে আর কোনো চিকিৎসা অবশিষ্ট নেই। তাকে বাঁচাতে হলে চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আপনাদের প্রস্তুতি নিতে হবে, রাজপথে দুর্বার আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে হবে। যে আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। যে আন্দোলনে গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ পান। যে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারি। যে আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারি।
শোভাযাত্রাটি কেরানীগঞ্জের জিনজিরা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু করে উপজেলার কালীগঞ্জ গুদারাঘাটে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজ আপনারা সব বাধা উপেক্ষা করে হাজার হাজার নেতাকর্মী এ শোভাযাত্রায় যোগ দিয়েছেন। আপনাদের বলতে চাই, সামনের বছর বিজয় শোভাযাত্রা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে সঙ্গে নিয়ে করতে চাই। এখান থেকেই সেই যাত্রা শুরু হোক।
কে কাকে ভোট দেবে তা ভাবার সময় এখন নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোন পথে যাবে তা রাজপথে ঠিক করতে হবে। নির্যাতন, গুম, খুন যাই হোক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও ভোটাধিকার আদায়ে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কর্মসূচি হচ্ছে-‘টেইক ব্যাক বাংলাদেশ’ এ কর্মসূচি নিয়ে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
শোভাযাত্রায় আরও অংশ নেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী, এছাড়া বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন মাস্টার, মোসাদ্দেদ আলী বাবু, যুবদল নেতা সেলিম চৌধুরীসহ ঢাকা-৩ আসনের বিভিন্ন ইউনিয়নের কয়েক হাজার নেতাকর্মী।
সূত্র: জাগো নিউজ