শিরোনাম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যখন আর দুই বছর বাকি, তখন দেশ ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
রোববার রাতে সারাদেশে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক উদ্বোধনের পর তিনি এই মন্তব্য করেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনি ভার্চুয়ালি এই আয়োজনে যুক্ত হন।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘যখন বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, কিছু কিছু ষড়যন্ত্র আমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। এটা আমি খেয়াল করেছি যখনই আমাদের নির্বাচনের বছর দুয়েক চলে আসে,তখনই কিন্তু এই ষড়যন্ত্র বেড়ে যায়। ঠিক দু বছর পর আরেকটা নির্বাচন আছে, তখনই দেখছি এই সেই ষড়যন্ত্র শুরু হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, এই বিদেশি শক্তি কারা। যারা আমাদের একাত্তরে বিরোধিতা করেছে, যাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করে স্বাধীন হতে হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্র আবার শুরু এখন।’
বিএনপির সমালোচনায় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘আমাদের এক শ্রেণি আছে, এক শ্রেণির মানুষ .. তারা হচ্ছে আমাদের বিরোধী দল। তারা তখন তাদের বিদেশি মালিকদের কাছে নালিশ করা শুরু করে, তাদের কাছে হাত পাততে থাকে, তাদের আশায় বসে থাকে যে তারা বিদেশ থেকে এসে ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে আবার ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে।’
দেশবাসীকে সতর্ক করে দিয়ে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আপনাদের সতর্ক করে দিতে চাই, এই ষড়যন্ত্রের সাফল্য আমরা হতে দেব না। এই ষড়যন্ত্র যদি আবার সাফল্য হয়, তাহলে কিন্তু আবার বাংলাদেশ আবার পিছিয়ে যাবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ তো দূরের কথা। আমরা সেই আমলে নেমে যাবো যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে আবার নিম্ন আয়ের দেশে নেমে যাবে।’
দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, ‘তবে আমার আত্মবিশ্বাস যে, দেশের মানুষ এখন অনেক সতর্ক, অনেক শিক্ষিত। আমরা অনেক যে পরিমাণ এগিয়ে এসেছি, আমাদের কেউ দাবায় রাখতে পারবে না। আওয়ামী লীগ যত দিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন আমরা পিছিয়ে যেতে দেব না।’
সজীব ওয়াজেদ জয় আরো বলেন, বিএনপির কারণেই ফোর-জির যুগেও বাংলাদেশ পিছিয়ে ছিল টু-জিতে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে যখন ফোর-জি ইন্টারনেট সেবা ছিল তখন আমাদের দেশে টু-জিও ছিল না। এখন আমরা ফাইভ-জি ইন্টারনেট সেবার যুগে প্রবেশ করছি। যদিও খুব সীমিত পরিসরে তবু এটা বড় অর্জন এবং এতে আনন্দ ও আপ্লুত বোধ করছি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে (বিটিআরসি) ধন্যবাদ জানিয়ে জয় বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও অল্পপরিসরে এই সেবা চালু আছে। যুক্তরাষ্ট্রে আমি যে শহরে থাকি, সেখানেও অল্প কিছু জায়গায় এই সেবা চলে। আমাদের দেশে ফাইভ-জি ইন্টারনেট সেবা বাস্তবায়নের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এজন্য তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশ অনেক উন্নত, ফাইভ-জি চালুর মাধ্যমে এটি আরও ত্বরান্বিত হলো।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
প্রাথমিকভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর, সচিবালয়, সংসদ ভবন এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধ-এই ছয়টি এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রা শুরু হয়েছে উচ্চ গতির এই ইন্টারনেট সেবা। তবে বাণিজ্যিকভাবে গ্রাহকদের জন্য আগামী বছরের মধ্যে ২০০টি স্থানে এই সেবা চালুর ঘোষণা দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম অপারেটর টেলিটক।
সূত্র: সমকাল ও যুগান্তর