শিরোনাম
চট্টগ্রামের পটিয়া, লোহাগাড়া ও কর্ণফুলী উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু না হলেও হাট-বাজারে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা কৌশলী প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। কোনো কোনো ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থীর আবরণে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা উঠান-বৈঠকসহ নানা প্রচারণা চালাচ্ছেন। তাদের নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত (নৌকা) প্রার্থীরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। নির্বাচন থেকে বিদ্রোহীদের বিরত রাখতে নৌকার প্রার্থী ও দলের স্থানীয় নেতারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ৬ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত তারা নানামুখী চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে জানা গেছে।
দলীয় পদ হারানোর তোয়াক্কা না করে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিতরা ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসাবে ভোটের মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। তাদের দাবি-নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের। ঘোষিত বা অঘোষিত বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনি মাঠে থাকলে সংঘাত-সংঘর্ষের পাশাপাশি নৌকার প্রার্থীর পরাজয়েরও শঙ্কা রয়েছে। তাই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীলরা বিদ্রোহীদের বিরত রাখতে চেষ্টা করবেন বলে জানা গেছে। ২৯ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা ও ৩০ নভেম্বর বাছাই করা হয়। ৬ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
চতুর্থ ধাপে পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও, হাবিলাসদ্বীপ, কুসুমপুরা, জিরি, আশিয়া, কাশিয়াইশ, জঙ্গলখাইন, বড়লিয়া, ধঘাট, কেলিশহর, হাইদগাঁও, দক্ষিণ ভূর্ষি, ভাটিখাইন, ছনহরা, কচুয়াই, খরনা ও শোভনদণ্ডী ইউনিয়নে নির্বাচন হচ্ছে। এছাড়া লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া, পদুয়া, চরম্বা, কলাউজান, পুটিবিলা, চুনতি ইউনিয়ন এবং কর্ণফুলী উপজেলার জুলধা, শিকলবাহা, চরলক্ষ্যা, বড়উঠান ইউনিয়নে নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচন ঘিরে প্রতিটি ওয়ার্ডের অলিগলি, দোকানের সামনে ও বাড়ির সম্মুখ প্রার্থীদের সাদা-কালো পোস্টারে ছেঁয়ে গেছে। প্রতীকবিহীন পোস্টারে এলাকাবাসীর দোয়া চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিয়মিত উঠান-বৈঠক ও ভোট প্রার্থনা করছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থী, সাধারণ সদস্য প্রার্থী ও সংরক্ষিত নারী প্রার্থী ও সমর্থকরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। সাবেক, বর্তমান ও নতুন প্রার্থীরা উন্নয়নের অঙ্গীকার করছেন। বিভিন্ন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা হ্যান্ডবিলও বিতরণ করছেন। দক্ষিণ চট্টগ্রামের ২৭টি ইউনিয়নের বেশিরভাগেই চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তাদের অনেকেই বিভিন্ন স্তরের পদধারী নেতা। প্রকাশ্যে দলীয় প্রার্থী না দিলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীর নামে কোনো কোনো ইউনিয়নে বিএনপি ও জামায়াত চেয়ারম্যান প্রার্থী দাঁড় করাচ্ছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র: যুগান্তর