তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে নানা কথা বলেন, অথচ এক বছর ধরে খালেদা জিয়া তাঁদের তত্ত্বাবধানে, খালেদা জিয়ার পছন্দের এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সে কারণে খালেদা জিয়ার কিছু হলে সে জন্য তারাই (বিএনপি) দায়ী। বিএনপি নানা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়, জনগণ বিভ্রান্ত হবে না।

রোববার রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন হাছান মাহমুদ। সেখানে ঢাকা উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগের দারুস সালাম থানার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ১০ ইউনিট ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।

হাছান মাহমুদ আরও বলেছেন, খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর। বিএনপি খালেদা জিয়াকে অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে বিদেশে পাঠিয়ে দিতে চায়। সেখান থেকে তিনি বেআইনিভাবে যেন রাজনীতিটা করতে পারেন, যেটি তারেক রহমান করছে। বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের ফন্দি-ফিকির বুঝি।’

এখন মনে হচ্ছে বিএনপির রাজনীতিটা আর জনগণের জন্য নয়, একমাত্র খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৫-২০ দিন ধরে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য যদি শোনেন তাহলে দেখতে পাবেন, অন্য কোনো বক্তব্য নেই, খালেদা জিয়ার কী হয়েছে, সেটিই তাঁরা প্রতিনিয়ত বলছেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দলের নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, কেউ যাতে ষড়যন্ত্র করতে না পারে, সে জন্য সবাইকে চোখ-কান খোলা রেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সুযোগসন্ধানীদের দলের মধ্যে দরকার নেই। যারা আমাদের আদর্শ, উদ্দেশ্য, নীতিতে বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগ করতে চায়, তাদেরকেই আওয়ামী লীগে দরকার আছে।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি যখন ছাত্র ছিলাম তখন আমি নিজেও বাসে হাফ ভাড়া দিয়ে চলেছি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় শহর থেকে বাসে যেতাম হাফ ভাড়া দিয়ে। তখন সরকার বাসমালিকদের কোনো প্রণোদনা দিত না। বাসমালিকেরাও প্রণোদনা দাবি করে নাই। তারা বিনা প্রণোদনাতেই ছাত্রদের হাফ ভাড়া দেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। আজকে কেন প্রণোদনা লাগবে, সেটি আমার ব্যক্তিগত জিজ্ঞাসা। একটি বাসে ৪০ থেকে ৫০ জন যাত্রী থাকে সেখানে দু-তিন-পাঁচজন ছাত্র থাকে এবং এতে বাসমালিকদের কি অসুবিধা হবে, সেটি আমার ব্যক্তিগত প্রশ্ন।’

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও সরকার সহানুভূতিশীল হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি সংস্থা বিআরটিসির ভাড়া হাফ করে দিয়েছেন। যারা ছাত্র তারা আমাদের সন্তান, তাদেরও সন্তান। আমি আশা করব, পরিবহনের মালিকেরা তাঁদের সন্তানদের কথা চিন্তা করে বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে নিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

সূত্র: প্রথম আলো