শিরোনাম
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মানবিকতার কোনো কমতি আমাদের নেই। আমরা মানবিকতা দেখাতে জানি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিশ্চয়ই মানবিকতা দেখাতে জানেন।
তিনি বলেন, এখানে আমি একটা কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই— সেটি হলো, যখন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হয়, তখন উনার পরিবার যে আবেদন করেছিল, সেটি কিন্তু মানবিক দিক থেকেই প্রধানমন্ত্রী দেখেছিলেন। তখন কিন্তু কোনো দাবি তোলা হয়নি, তিনি (শেখ হাসিনা) নিজেই তাকে মুক্ত করেছিলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য দাবিসংবলিত স্মারকলিপির দেওয়ার পর জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সঙ্গে বৈঠকে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, যদিও আপনারা বাংলাদেশ জাতীয় আইনজীবী সমিতি থেকে এসেছেন। আমরা কিন্তু ফোরাম। আমরা সবাই কিন্তু একসময় কলিগ (সহকর্মী) ছিলাম। আমার লাইসেন্স যদিও সাসপেন্ডেন্ট, তবে এখনও আমি আপনাদের একজন।’
তিনি বলেন, ‘দেখুন ৪০১ ধারা নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনায় যেতে চাই না। আপনারা আমার অতিথি। আমাদের স্বাভাবিক আইনের মতপার্থক্য থাকবে। আমারও আপনাদের সঙ্গে আইনের মতপার্থক্য আছে।’
‘আপনাদের একজন ৪০১-এর উপধারা নিয়ে কথা বলেছেন যে, সেখানে কোথাও বলা নেই যে বিদেশে যাওয়া যাবে না। তবে সেখানে কিন্তু একটা কথা বলা আছে— বিদেশের কথা বলা নেই। সেখানে যেটি বলা আছে, শর্তযুক্ত বা শর্তমুক্ত।’
আনিসুল হক বলেন, আপনারা যে স্মারকলিপি দিয়েছেন, তা আমি এক্সামিন (পরীক্ষা) করব। কারণ এখানে সিদ্ধান্তের জন্য আলাপ-আলোচনার প্রয়োজন আছে। সেটি আমরা করব।
বৈঠকে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের এটা (স্মারকলিপি) নিলাম। আলাপ-আলোচনাও করলাম। আমি যেটা মনে করি, আজকেই এখন প্রিম্যাচিউর কিছু বলে দিই, সেটি সঠিক হবে না। আমাকে একটু সময় দেন। আমি এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করব। কেউ জানে (প্রাণ) বেঁচে না থাকুক, সেটি আমাদের উদ্দেশ্য নয়— এটুকু আমি বলতে পারি।