শিরোনাম
কুমিল্লার প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও কুমিল্লা জেলা ১৪ দলীয় জোটের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আফজল খান মারা গেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর খুব কাছের লোক ছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। সূত্র: যুগান্তর
মঙ্গলবার ২টা ৩০ মিনিটে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে যান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আফজল খানের বড় মেয়ে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমা।
তিনি জানান, দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সম্প্রতি শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় কুমিল্লা সিডিপ্যাথ হাসপাতাল থেকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই তিনি মারা যান।
সদ্যপ্রয়াত বাবার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন আঞ্জুম সুলতানা সীমা।
আফজল খানের ছেলে এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মাসুদ পারভেজ খান ইমরান জানান, বুধবার বেলা ১১টায় মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। অধ্যক্ষ আফজল খান মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।
উল্লেখ্য, অধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট আফজল খান কুমিল্লার প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষানুরাগী ও বিশিষ্ট সমাজসেবক। বঙ্গবন্ধুকে খুব কাছ থেকে জানার সুযোগ হয়েছে তার। তিনি ১৯৬৫ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ভিপি নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে আফজল খান ৬৯-এর গণআন্দোলন ও ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর খুব কাছের লোক ছিলেন।
এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আফজল খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার আলাদা শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি মরহুম আফজল খানের পবিত্র আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন, সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।