জনসচেতনতায় সমন্বয় না থাকলে ডেঙ্গু থেকে বাঁচা দুঃসাধ্য: সুলতানা কামাল

ফানাম নিউজ
  ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২১:৪৫

জলবায়ু পরিবর্তন ও জনসচেতনতার মধ্যে সমন্বয় না থাকলে ডেঙ্গু থেকে বাঁচা দুঃসাধ্য বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল।   

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাপার উদ্যোগে ‘পরিবেশ ও ডেঙ্গু: স্বাস্থ্যগত দৃষ্টিকোণ’ শীর্ষক এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সুলতানা কামাল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও জনসচেতনতার মধ্যে সমন্বয় না থাকলে ডেঙ্গু থেকে বাঁচা দুঃসাধ্য। দেশের পরিবেশ ঠিক না থাকার কারণে আজ বিভিন্ন রোগ-বালাই বেড়েই চলেছে। গর্ভনেন্স না থাকলে কোনো আলোচনা ফলপ্রসূ হয় না। দায়িত্ব ও অধিকারবোধের মধ্যে সমন্বয় আজ জরুরি। এটির অভাব দেখা দিলে সমাজে এ ধরনের রোগ-বালাই থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, পরিবেশবাদীদের কথা সরকারের কাছে নিষ্ফল লম্ফজম্ফ মনে হয়, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা দেশের স্বার্থে, সাধারণ জনগণের স্বার্থে পরিবেশ ধ্বংসের বিরুদ্ধে কথা বলি। দেশের পুকুর, দীঘি ও নদীর প্রশস্ততা হ্রাস পাচ্ছে। আগের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার ধারাবাহিকতা এখন আর লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এখন পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রকল্প নির্ভর ও একটি খাসলতে পরিণত হয়ে গেছে। নগরায়ন করতে গিয়ে আমরা প্রকৃতিকে কতটা সমুন্নত রাখছি সেটি লক্ষণীয়। সাধারণ মানুষকে দেশের কল্যাণমূলক কাজে বেশি সম্পৃক্ত করতে হবে।

বাপা সভাপতি বলেন, সিভিল সোসাইটি বলতে এখন আর কিছুই নেই। কারণ কথা বলতে গেলেই বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। যারা এ ডেঙ্গু প্রতিরোধ কর্ম প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। ওয়ার্ড কমিশনারদের নিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে আলোচনা করা জরুরি। একইসঙ্গে মেয়রদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। কারণ মূল দায়িত্ব নীতি-নির্ধারকদের। সে দায়িত্ব তারা কখনো এড়িয়ে যেতে পারেন না। সামগ্রিক আঙ্গিকে কাজ না করলে এর সুফল পাওয়া দুষ্কর।

সুলতানা কামালের সভাপতিত্বে এবং বাপা পরিবেশ ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটির সদস্য সচিব বিধান চন্দ্র পালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক এবং বাপার পরিবেশ ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক ড. আবু মোহাম্মদ জাকির হোসেন।

এতে আরো বক্তব্য রাখেন বাপার কোষাধ্যক্ষ মহিদুল হক খান, বিআইপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক গোলাম রহমান, পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. আফতাব উদ্দিন, বাপার নির্বাহী সদস্য এম এস সিদ্দিকী, ফরিদ হাসান আহমেদ প্রমুখ।