ভুঁইফোড় সংগঠনের কর্মসূচি বন্ধ করলেন ওবায়দুল কাদের

ফানাম নিউজ
  ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪:১৯
আপডেট  : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪:২১

মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ নামের এক ভুঁইফোড় সংগঠনকে কর্মসূচি করতে দেয়নি আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মঞ্চ করে এই সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। সূত্র: বাংলা নিউজ২৪

খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই সংগঠনের কর্মসূচি বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এরপর সংগঠনটি কর্মসূচি বন্ধ করে মঞ্চ ভেঙে নিয়ে যায়।

এই ধরনের সংগঠনকে দোকান অভিহিত করে এসব সংগঠন চাঁদাবাজির জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। এসব সংগঠনের অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের না যাওয়ার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের ।

শনিবার(১৮ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনা ঘটে। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলির সভা ছিল। এর আগেই দলের সাধারণ সম্পাদক ওই সংগঠনের কর্মসূচির খরব পেয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশ দেন কর্মসূচি বন্ধ করে সেখান থেকে তাদের তুলে দিতে। এরপর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া গিয়ে তাদের কর্মসূচি বন্ধ করার নির্দেশ দেন।  

এ বিষয়ে বিপ্লব বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ নামে একটি সংগঠন আওয়ামী লীগের এবং পুলিশ প্রশাসনের কাছে কোনো অনুমতি না নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচির আয়োজন করেছিল। দলের সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে ওই সংগঠনের কর্মসূচি বন্ধ করে তুলে দেওয়া হয়েছে। এসব সংগঠনের কারণে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।

পরে সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে কিছুক্ষণ অগে খবর পেলাম প্রচার লীগ নামে এক ভুঁইফোড় দোকান, প্রতিষ্ঠালগ্নের কী আয়োজন করেছে আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ। মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের বিষয়ে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু লীগ আর আওয়ামী যখন যুক্ত হয় তখন এখানে আমাদের নাম এসে যায়। কারণ এসব দোকান অনেকে খুলে থাকে চাঁদাবাজির জন্য।  

তিনি বলেন, সবাই করে তা-না, কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে, এরা চাঁদাবাজি নির্ভর। চাঁদাবাজি পার্টি, এরা দলের নাম ভাঙায়। কাজেই এই সব সংগঠনের কোনো প্রকার আয়োজনে, বৈঠকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হোক, যেটাই হোক আমি আমাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের আহ্বান জানাবো, আপনারা কোনো অবস্থাতেই এসব সংগঠনের সভায় উপস্থিত থাকবেন না, থাকতে পারেন না। এটা আমাদের পার্টির নীতির বিরুদ্ধে।