চন্দ্রিমায় জিয়ার মরদেহ থাকার প্রমাণ কোথাও নেই: তথ্যমন্ত্রী

ফানাম নিউজ
  ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৭:১৪

চন্দ্রিমায় জিয়াউর রহমানের মরদেহ থাকার কোনো প্রমাণ কোথাও নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘সংসদে প্রধানমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন, জিয়ার মরদেহ কেউ দেখেননি।’

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীতে সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সংসদে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি রাঙ্গুনিয়ার মানুষ, যেখানে জিয়াকে প্রথম সমাহিত করা হয় বলে বিএনপি দাবি করে। রাঙ্গুনিয়া উপজেলার তখনকার চেয়ারম্যান জহির সাহেব এখনো জীবিত। তিনি বলেছেন, তিনটি মরদেহ সেখান থেকে তোলা হয়েছিল, তার মধ্যে জিয়াউর রহমানের মরদেহ ছিল না। এরশাদ সাহেব এবং জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠজন মীর শওকত দুজনেই বলেছেন, তারা কেউ জিয়ার মরদেহ দেখেননি।’

চন্দ্রিমা থেকে কবরটি সরিয়ে ফেলার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মরদেহ ছাড়া কবর দাবি করা যেমন জনগণের সঙ্গে প্রতারণা, তেমনি ইসলামের নিয়ম-নীতিবিরুদ্ধ। মরদেহ ছাড়া কবর রাখার কোনো কারণ আছে কি-না, সেটিই জনগণের প্রশ্ন।’

এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য ‘আওয়ামী লীগ চিরস্থায়ী ক্ষমতার জন্য বিএনপির ওপর নির্যাতন করছে’ এর জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাসী, জনগণ যতদিন চাইবে ততদিন আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনা করবে। এর একদিনও বেশিও আওয়ামী লীগ থাকবে না।’

তিনি বলেন, ‘গত ১৩ বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে দেশ এগিয়েছে, প্রতিটি নাগরিকের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে, তাতে মানুষ বঙ্গবন্ধুকন্যা ও আওয়ামী লীগের ওপর সন্তুষ্ট। পেট্রলবোমা দিয়ে জীবন্ত, ঘুমন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যাকারী, অবরোধের নামে মানুষকে অবরুদ্ধকারী বিএনপির সঙ্গে তো জনগণের থাকার কথা নয়। বিএনপি নিজেরাই জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে নানা কর্মসূচি দিয়ে জনগণের কাছ থেকে অনেক দূরে সরে গেছে।’

‘বিরোধীদল দমনেও আওয়ামী লীগ বিশ্বাসী নয়’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘সন্ত্রাসী, পেট্রলবোমা নিক্ষেপকারী বা ফৌজদারি অপরাধের আসামির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে যদি বিএনপি অপরাধীদের পক্ষ নেয়, তাহলে তো দেশে কোনো ফৌজদারি আইনই কার্যকর করা যাবে না, বিচারও থাকবে না। সুতরাং বিএনপির এসব কথা হাস্যকর।’