শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করলেন জামায়াতের আমির

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:২১

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ট্রল করে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, একজন শাসক সাড়ে ১৫ বছর দেশ শাসন করেছেন। তিনি যখন কথা বলতেন তখন মানুষ বলতো, ‘ও হাসিনা আমরা আর হাসি না’। তিনি মানুষকে উত্তেজিত করতেন এবং হাসানোরও চেষ্টা করতেন।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) নীলফামারী জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

জামায়াত আমির বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন ছিলেন তার উজির নাজিররাও তেমন ছিলেন। কে কত মিথ্যা বলতে পারে সেই প্রতিযোগিতা ছিল গত ১৫ বছরে।

তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছর জামায়াতের নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম অচ্যাচার নির্যাতন করা হয়েছে। দলীয় কার্যালয়গুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়। বাড়িতেও থাকতে পারেনি নেতাকর্মীরা। বাড়িতে বসলেও জঙ্গি হিসেবে আখ্যা দিয়ে মামলা দেওয়া হয়েছে। শুধু জামায়াত নয়, বিরোধী মতের সবার ওপর পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে। অন্যায়ের বিচার হতে হবে, না হলে অন্যায়কারীরা উৎসাহ পাবে, অপরাধ কমবে না।

শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে শফিকুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে খুন, গুম ও হত্যা মামলা আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখনই চাইবে ভারতকে তখনই শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই বিডিআর বিদ্রোহের নামে পরিকল্পিতভাবে মেধাবী সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। আর এটি শেখ হাসিনার নির্দেশেই করা হয়। গত ১৫ বছরে যত অন্যায় অত্যাচার জুলুম করা হয়েছে, তা ছিল শেখ হাসিনার মদদেই।

জামায়াত আমির বলেন, যেসব কারণে ছাত্র-জনতা আন্দোলন করেছে তা যেন পূরণ হয়। ছাত্র-জনতার দাবিগুলো সর্বাগ্রে পূরণ করা হোক। নির্বাচনের মাধ্যমে জামায়াত ক্ষমতায় এলে দাবি আদায়ের জন্য এ দেশের মানুষকে সংগ্রাম করতে হবে না। বিনা সংগ্রামে জনগণের দাবি পূরণ করা হবে।

এ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের আইন হাতে তুলে না নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াত কোনো অন্যায় করবে না, অত্যাচার করবে না। মানুষের ক্ষতি করবে না। যেখানে অন্যায় দেখবেন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে খবর দেবেন।

কর্মী সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামী জেলা আমির আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।