উন্নত চিকিৎসার জন্য আগামী ৮ নভেম্বর লন্ডনে যাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বুধবার (৩০ অক্টোবর) তাকে বিদেশে নেওয়ার চূড়ান্ত দিনক্ষণ বেঁধে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তিনি জানান, ৮ নভেম্বর লন্ডন যাবেন খালেদা জিয়া। সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসা সহায়তায় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা এবং তদারকি করছে।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার খালেদা জিয়াকে শীঘ্রই লন্ডনে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে খালেদা জিয়ার কার্যালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে চিকিৎসক, নার্সসহ যেসব আত্মীয়-স্বজন যাবেন তাদের নামও জানানো হয়েছে।

৭৯ বছর বয়সের খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বিভিন্ন সময় আইসিইউতে রেখে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে তাকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তাকে কারাবন্দি করা হয় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি।  দুই বছরের বেশি সময় কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন তিনি।  করোনার সময় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছিল। এরপর ৬ মাস পর পর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় গণঅভ্যুত্থানের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হলে নির্বাহী আদেশে মুক্তিলাভ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে বিএনপি। সবশেষ ২১ আগস্ট এভারকেয়ার হাসপাতালে এক মাস চিকিৎসাধীন থেকে বাসায় ফেরেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।