অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রবাসীদের একগুচ্ছ প্রস্তাবনা

ফানাম নিউজ
  ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:৪৯

সরকারের কাছে একগুচ্ছ প্রস্তাবনা তুলে ধরেছে বাংলাদেশ প্রবাসী ও অভিবাসী পরিষদ, এনআরবি প্রফেশনাল ফর রিফর্ম এবং বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার ঐক্য পরিষদ। সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে দেওয়া প্রায় ৩০টি প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে পরামর্শ দেওয়া হয়। যেখানে প্রবাসীদের দাবি-দাওয়াসহ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কার, নির্বাচন ব্যবস্থা, অর্থনীতি ও দুর্নীতি বন্ধের পাশাপাশি দেশের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য সেবার বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে রেমিটেন্স যোদ্ধা ও অভিবাসীদের প্রস্তাবনা পেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।

গোলটেবিল আলোচনায় গণঅভ্যুত্থানে শহিদ আব্দুর রহমান জিসানের পিতা প্রবাসী বাবুল সরকার বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমার ছেলে জিসানকে গত ২০ জুলাই সন্ধ্যা ৬টায় পুলিশ গুলি করে মেরে ফেলে। আমি দক্ষিণ সুদানে থাকি। বাংলাদেশে আসার জন্য আমার কাছ থেকে ৮০০ ডলার নিয়েছে। কিন্তু ভারতে একই ভিসার দাম ৪০০ ডলার। এ সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।

নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মো. শামসুদ্দিন বলেন, এটি শুধু ছাত্রদের অভ্যুত্থান নয়, পুরো দেশের মানুষের। আমাদের একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এটি শুভ লক্ষণ। ছাত্রদের জন্য রাজনীতি নয়। যে ছাত্ররা রাজনীতি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেন, তাদের পরবর্তীতে রাজনীতিতে নিয়ে আসা দরকার।

তিনি আরো বলেন, আমাদের অভ্যন্তরে ভারতীয় দালালরা এখনো রয়ে গেছে। তারা দ্রুত নির্বাচন দেয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছে। আগে দেশ সংস্কার করতে হবে। পরে নির্বাচন দিলে ভালো হবে। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতি। তাই আগে এগুলোর সংস্কার করতে হবে।

বাংলাদেশ প্রবাসী ও অভিবাসী পরিষদের সমন্বয়ক মো. আবু তোয়েব হাবিলদার বলেন, ‘প্রবাসীরা তাদের শ্রমের টাকা দেশে পাঠায়। রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখে। কিন্তু এই প্রবাসীদের নিয়ে দেশের কোনো সরকারের মাথাব্যথা ছিলো না। বাংলাদেশের মাটিতে এবং বিদেশের মাটিতেও প্রবাসীরা সম্মান পায় না। রেমিট্যান্স যোদ্ধারা যদি রেমিট্যান্স না দিতো তাহলে দেশ কখনোই অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যেতে পারতো না।’

সিন্ডিকেট বন্ধের দাবি জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘ভারত থেকে মধ্যপ্রাচ্যে যেতে মাত্র ৭০ হাজার টাকা লাগে। পাকিস্তান থেকে যেতে লাগে ১ লাখ টাকা। বাংলাদেশ থেকে যেতে কেন ৫-১০ লাখ টাকা লাগবে? সরকারকে জবাব দিতে হবে, এ ধরনের সিন্ডিকেট বন্ধ করতে হবে।’