শিরোনাম
সরকার ও আমলাদের মধ্যে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের অনেক প্রেতাত্মা অবস্থান করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, তারা চক্রান্ত করছে। এই চক্রান্তকে রুখে দাঁড়াতে হবে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, শুধু ৫২ কিংবা ’৭১ নয়, সেই ব্রিটিশ আমল থেকে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই-সংগ্রাম চলছে। শেখ হাসিনা গত ১৫ বছর বাংলাদেশের মানুষের ওপর স্টিম রোলার চালিয়ে গেছে, সেটাকে উপেক্ষা করে… আজ আমরা একটা মুক্ত পরিবেশে এসেছি।
গণতন্ত্র আর বিএনপি সমার্থক উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এক দলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় শাসন চালু করেছেন। আর দেশনেত্রী খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি শাসন থেকে সংসদীয় গণতন্ত্র চালু করেছেন।
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করেছেন বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ২০১৬ সালে খালেদা জিয়া ভিশন ২০২১ দিয়ে গণতন্ত্র টেকসই করার কথা বলেছেন। আর ২০২৩ সালে বিএনপি আবার ৩১ দফা দিয়েছে।
গত ১৬ বছরে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, অনেকে কারাগারে গিয়েছেন। অনেকে গ্রামে না থাকতে পেরে ঢাকায় এসে রিকশা চালিয়েছে। গতকাল আমি পঙ্গু হাসপাতালে গিয়ে দেখেছি, ১৩ বছরের একটি ছেলের গুলি লেগে পা হারিয়েছে। এইভাবে গণতন্ত্র-মুক্তির সংগ্রাম চলছে।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ছাত্র-জনতার ত্যাগের মাধ্যমে আমরা সুযোগ পেয়েছি একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা করার। সেই সুযোগ যেন আমরা হেলায় না হারাই। আজ এমন একটা অবস্থা তৈরি করতে হবে যাতে সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি।
সমাবেশে উপস্থিত তরুণ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা হচ্ছেন সেই ভ্যানগার্ড, আজ আবার কেউ গণতন্ত্রকে বিপথে নিতে চাইলে রুখে দাঁড়াবেন।
তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবেন এবং ফিরে আসবেন।
গণঅভ্যুত্থানে আহত-নিহতদেরর ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান মির্জা ফখরুল।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আব্দুল মঈন খান, ডা. জাহিদ হোসেন প্রমুখ।