সংবাদপত্র-টেলিভিশন দখলের জন্য বিপ্লব হয়নি : ভিপি নুর

ফানাম নিউজ
  ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১৯:৫৩

গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি নুরুল হক নূর বলেছেন, কোনো মাফিয়াতন্ত্র, দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজি করার জন্য ছাত্র-জনতা জীবন দেয়নি। গত কয়েক বছর সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে হয়রানি হয়েছেন, চাকরি হারিয়েছেন, সেসব বিষয়েও ব্যবস্থা নিতে হবে। সংবাদপত্রের অফিস, টেলিভিশন দখল চলবে না। এসবের জন্য এই বিপ্লব হয়নি। 

মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটরিয়ামে ‘সড়ক পরিবহণে নৈরাজ্য ও চাঁদাবাজি বন্ধে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন নূর। বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের পরিবহণ ইউনিট ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

নুরুল হক নূর বলেন, কোথাও চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব চলবে না, এসব হতে দেওয়া হবে না। পরিবহণ খাতে যাত্রাবাড়ী, গাবতলি, মহাখালীতে যে-সব চাঁদাবাজির দোকান ছিল সেগুলো বন্ধ করতে হবে। যেখানেই চাঁদাবাজদের দেখবেন তাদের ধরে হাত ভেঙে দেবেন আপনারা। আমরা সাংবাদিক, পরিবহণ মালিকসহ সবার সঙ্গে বসব, কোথাও কোনো অনিয়ম হতে দেওয়া হবে না। 

তিনি বলেন, গত কয়েক বছর সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে হয়রানি হয়েছে, চাকরি হারিয়েছে, সেসব বিষয়েও ব্যবস্থা নিতে হবে। সংবাদপত্রের অফিস, টেলিভিশন দখল চলবে না। এসবের জন্য এই বিপ্লব হয়নি।

তিনি আরও বলেন, পরিবহণ সেক্টরকে চাঁদাবাজ মুক্ত করে পরিবহণ খাতকে কল্যাণমূলক খাতে পরিণত করতে হবে। পরিবহণ শ্রমিকদের কর্মজীবন শেষে পেনশন ভাতা ও স্বাস্থ্য ভাতা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। ছাত্র জনতা একটি কল্যাণমুখী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য জীবন দিয়েছে।

তরুণ এই রাজনীতিক আরও বলেন, এই সরকার কোনো রাজনৈতিক সরকার নয়, এটা ছাত্র-জনতার ম্যান্ডেটে গঠিত সরকার, এখানে রাজনৈতিক কোনো ব্যক্তি নাই, তাই সরকারকে আরও বেশি কার্যকর করার জন্য গণঅধিকার পরিষদ, বিএনপি, জামায়াতসহ অ্যাকটিভ রাজনৈতিক দলের নেতাদের পরামর্শ অনুযায়ী যোগ্য ও দক্ষ আরও ১০ জনকে যুক্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি। 

বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি মেজর জেনারেল আমসা আমিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের পরিবহণ শ্রমিক নেতা ও পরিবহণ মালিক নেতারা বক্তব্য রাখেন।

সভাপতির বক্তব্যে আব্দুর রহমান বলেন, স্বৈরাচার সরকার গণতন্ত্র ধ্বংস করে শুধু সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানই শেষ করেনি, শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নগুলোও ধ্বংস করেছে।