শিরোনাম
দেশে রাজনৈতিক ক্রান্তিকাল চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার মামলা উঠানো হয়েছে। আরেকজন উপদেষ্টার নামে মামলা ছিল, সেটা উঠানো হয়েছে। আমাদের প্রায় ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা আছে। আশা করি আমাদের মামলাগুলো তুলে নেওয়া হবে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমেদের নবম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসেছে, তাদের উপর আমাদের আস্থা আছে। অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে রয়েছেন বিশ্বনন্দিত ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাদের উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন অর্থনীতিবিদ সিভিল সোসাইটি ও ছাত্র সমাজের নেতৃবৃন্দ। তাদের কাছে মানুষের প্রত্যাশা আকাশচুম্বী। আমরাও প্রত্যাশা করি, একটা যৌক্তিক সময়ের মধ্যেই নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি হবে ও জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন তারা দেবেন।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা গতকাল জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অনেক বিষয় তুলে ধরেছেন, যা আমরা সমর্থন করি। তবে আমরা আশা করেছিলাম তার ভাষণে একটি রোডম্যাপ থাকবে, কিন্তু উনার কথায় তা পাইনি। যদিও জানি দ্রুত সময়ে তা সম্ভব নয়। তবুও উনার কথায় থাকলে ধারণা নিতে পারতাম যে ভালোর দিকে যাচ্ছে দেশ। অবশ্য উনার কথার মূল ছিল দেশে নির্বাচন হবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে। আমরাও আশা করব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তিনি সহসাই কথা বলবেন।
সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অবশ্যই কাজ করতে এসেছে, তাদেরকে কাজের সুযোগ দিতে হবে। সবাইকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। তবে, আমরা বিশ্বাস করি একটা যৌক্তিক সময়ের মধ্যেই অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ফ্যাসিবাদী খুনি নেতা শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন। পলাতক পতিত স্বৈরশাসকের চলে যাওয়া নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য বিজয়।
বিভিন্ন স্কুল-কলেজে শিক্ষকদের জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্র ভাইয়ের বলতে চাই, বাংলাদেশের ইতিহাসের তারা সব পরিবর্তন করে দিয়েছে। ৫২,৬৯...। সেই জন্য দেশের মানুষ ছাত্রদের সব সময় আলাদা চোখে দেখে। আমি একজন শিক্ষক হিসেবে আহ্বান জানাতে চাই, অযথা বল প্রয়োগ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের যেতে বাধ্য করবেন না। তিনি অপরাধ করলে আইন আছে। তাদেরকে কাজ করতে দিতে হবে।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মামলা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, প্রধান উপদেষ্টা মামলা উঠানো হয়েছে। আরেকজন উপদেষ্টা নামে মামলা ছিল, সেটা উঠানো হয়েছে। আমাদের বিএনপি-জামায়তের এমন কোনো নেতা নেই, যার নামে মিথ্যা মামলা নেই। প্রায় ৬০ লাখ লোকের বিরুদ্ধে মামলা আছে। আশা করি আমাদের মামলাগুলো তুলে নেওয়া হবে।