শিরোনাম
কোটাবিরোধী আন্দোলনে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম রাজধানীর উত্তরায় দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানা গেছে। দুর্বৃত্তদের হামলায় জুয়েল মোল্লা নামে জাহাঙ্গীর আলমের এক ব্যক্তিগত সহকারী নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে মহানগর আওয়ামী লীগের ৩২ নং ওয়ার্ডের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জাহাঙ্গীর আলমের ঘনিষ্ঠজন মোখলেছুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জাহাঙ্গীর আলম মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছেন বলে তিনি জানান।
মোখলেছুর রহমান জানান, গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিকেলে গাজীপুর থেকে ঢাকায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য বেশ কিছু নেতাকর্মী নিয়ে রওনা দেন জাহাঙ্গীর আলম। তার গাড়ি বহর উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকা পার হওয়ার সময় আন্দোলনকারীরা তার গাড়ি বহরের গতিরোধ করে। এ সময় জাহাঙ্গীর আলমের গাড়ি বহরে অতর্কিত হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে দুর্বৃত্তরা। ইটের আঘাতে জাহাঙ্গীর আলমের মাথা ফেটে যায়। তার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরাও আহত হন। তার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ তৈরি করলে জাহাঙ্গীর আলমের ব্যক্তিগত সহকারী জুয়েল মোল্লাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
পরে জাহাঙ্গীর আলম পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। কিছু সময় পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাকে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পাশের একটি হাসপাতালে পাঠান। এ সময় তার মাথায় ১৭টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। পরে জাহাঙ্গীর আলমকে চিকিৎসার জন্য রাজধানীর একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর একদিন পর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। জাহাঙ্গীর আলমের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে বলে জানান এই আওয়ামী লীগ নেতা।
উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডিএ ফরমান জানান, সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের ওপর হামলা ও তার ব্যক্তিগত সহকারী নিহতের ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।