শিরোনাম
সরকারের উন্নয়ন সহ্য না হওয়ায় বিএনপি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাঙালির মুক্তি সনদ ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস স্মরণে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষমতার হালুয়া রুটির ভাগ-বাটোয়ারার জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি যারা গঠন করেছিলেন, ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী ২ বছর ও একাধারে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকারের চার মেয়াদসহ ২২ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা তাদের আর সহ্য হচ্ছে না। এমনকি তারা সরকারের কোনো উন্নয়ন অগ্রগতিও সহ্য করতে পারছে না। সেই কারণে তারা এখন নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সংসদে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বেশি বাজেট ঘোষণা হয়েছে। গত ১৫ বছরে বাজেটের অংক সাড়ে ১১ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের টার্নওভার বৃদ্ধি পাওয়া মানে সেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভালো চলছে। দেশের বাজেটের আকার যখন বৃদ্ধি পায় তখন বুঝতে হবে দেশ উন্নতি ও সমৃদ্ধির দিকে যাচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত বাজেট ঘোষণার আগেই বিবৃতি রেডি করে রাখে। গত ১৫ বছরের তাদের বিবৃতি-বক্তব্য যদি দেখেন তখন হুবহু মিল খুঁজে পাবেন।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্বের ২৭টি দেশকে পেছনে ফেলে বর্তমানে বাংলাদেশ পৃথিবীর ৩৩তম অর্থনীতির দেশ, ১৫ বছর আগে ছিল পৃথিবীর ৬০তম অর্থনীতির দেশ। এই ২৭ দেশের মধ্যে মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরও আছে। জিডিপির আকারে আমরা তাদেরকেও অতিক্রম করেছি। শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও চিন্তা এবং কঠোর পরিশ্রমের কারণেই এগুলো সম্ভবপর হয়েছে।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা জানেন ২০১৪ ও ১৮ সালে সংকট তৈরি করা হয়েছে। ২০২৪ সালেও সংকট তৈরির অপচেষ্টা ছিল। কিন্তু সমস্ত সংকট ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করে শেখ হাসিনার দৃঢ়তার কারণে আওয়ামী লীগ আজকে পরপর চারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায়।’
বিএনপি-জামায়াত ও কতিপয় বুদ্ধিজীবীদের প্রতি প্রশ্ন রেখে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাজেট জনগণের কল্যাণে যদি না আসে, তাহলে গত ১৫ বছরে দারিদ্র্য ৪০ শতাংশ থেকে নেমে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে কেমনে আসল? আর অতিদারিদ্রতা ২২ শতাংশ ছিল, সেখান থেকে ৫ দশমিক ৭ শতাংশে কীভাবে নেমে এসেছে? এটি সম্ভবপর হয়েছে বাজেট বাস্তবায়নের কারণেই। এরা আসলে চোখ থাকতেও অন্ধ কান থাকতেও বধির। ওদের চোখ এবং কান যেন মহান আল্লাহ ঠিক করে দেন সেই প্রার্থনা করি।’
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, একটা হচ্ছে সত্যিকারের বিশেষজ্ঞ, আরেকটা হচ্ছে বিশেষ কারণে অজ্ঞ বিশেষজ্ঞ, আরেকটা হচ্ছে সব বিষয়ে বিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ। কেউ পড়েছেন আইন তিনি অর্থনীতি কিংবা পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, কেউ পড়েছেন অর্থনীতি উনি আবার তেল-গ্যাসের বিশেষজ্ঞ। এই কদিন দেখবেন এই বিশেষজ্ঞদের বক্তব্যে টেলিভিশনের পর্দা গরম হয়ে যাচ্ছে। তারা এবং বিএনপি-জামায়াত বলতে শুরু করেছে এই বাজেট জনগণের কোনো কল্যাণে আসবে না।
এর আগে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন ও সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল।