শিরোনাম
বিএম জাহিদ হাসান, ছাত্র বয়স থেকেই রাজনীতির হাতেখড়ি। রাজপথের লড়াকু সৈনিক, কর্মী বান্ধব নেতা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে (২০০৩ – ২০১০ইং) সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। দলের দুঃসময়ে রাজপথে তাকে সোচ্চার কণ্ঠে দেখা যায়। বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসনের সময় মিটিং মিছিলে শহরের অলিগলি সর্বত্রই তাকে দেখা যেতো। ১/১১-তে এজন্য বারবার নির্যাতিত হয়েছেন এবং ১০টি মামলার আসামি হয়ে কারাবরণও করেছেন অসংখ্যবার। ২০০৭-০৮ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
তারপরও দমে যাননি এই ত্যাগী নেতা বরং বারবার বিভিন্ন সময় বিএনপি-জামায়াত জোটের অত্যাচার, নির্যাতন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে গেছেন।
বাঙালির জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাসী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মূলনীতিকে অনুসরণ করে আধুনিক বাংলার রূপকার বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাবার স্বপ্ন পূরণে সোনার বাংলা বিনির্মাণে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে যে “রূপকল্প-২০৪১” বাস্তবায়ন তথা ক্ষুধা-দারিদ্র্য, মাদক, জঙ্গিবাদমুক্ত এবং সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে কাজ করে যাচ্ছেন তার এই পরিকল্পনাকে সার্থক করতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে কাজ করে যেতে চান বিএম জাহিদ হাসান।
তিনি গোপালগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান।
চাচা মোল্লা জালাল উদ্দিন ১৯৭৩ -এ ফরিদপুর ১১ আসনের উপনির্বাচনে এবং ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৯ সালে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের ডাকে রাওয়াল ফিল্ডে গোলটেবিল বৈঠকে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন। এ ছাড়াও ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুজিবনগর সরকারের দূত হিসেবে মধ্যপ্রাচ্য সফর করেন তিনি। ছিলেন বঙ্গবন্ধুর খুব কাছের এবং বিশ্বস্ত একজন।
তাইতো বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ ও লালন করে রক্তে মিশে থাকা আওয়ামী পরিবারের সন্তান হয়ে ছাত্রলীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে নব্বইয়ের দশকে ঢাকা কলেজে অধ্যয়ন কালে ছাত্র রাজনীতিতে নাম লেখান জাহিদ হাসান।
আওয়ামী রক্ত দেহে বহমান তিনি একাধারে একজন সফল ব্যবসায়ী, সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ।
ইতোপূর্বে ঢাকা মহানগর উত্তর তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য, জাতীয় শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, আওয়ামী যুবলীগের খাদ্য উপ-কমিটি, সপ্তম জাতীয় কংগ্রেসের সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন।
তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী।
তুরাগের রাজনৈতিক অঙ্গনে এমন ত্যাগী নেতার মূল্যায়ন চান তুরাগবাসী। তুরাগ থানা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, জাহিদ হাসান আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত, ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা। মাঠ পর্যায়ের কর্মী সমর্থকরা যে কোনো দুঃসময়ে তাকে পাশে পেয়ে থাকেন। কর্মীবান্ধব ত্যাগী ও পরীক্ষিত এই নেতাকে রাজনৈতিকভাবে মূল্যায়নের এখনই সময়।
ত্যাগী নেতা বিএম জাহিদ হাসান বলেন, ‘তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আমার পক্ষে আছেন। তারা চাচ্ছেন- আমাকে যেন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। আমাকে তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হলে আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাবো। বিগত সময়ে দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালন করেছি। তৃণমূল থেকে দলকে অত্যন্ত সুসংগঠিতভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তৃণমূল নেতাকর্মীই হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রাণ। তাই তৃণমূলের দুঃখ-দুর্দশার দূর করে দলকে তৃণমূল থেকেই শক্তিশালী করবো ইনশাআল্লাহ। স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি- জামায়াতের নৈরাজ্য প্রতিহত করতে অগ্রভাগে থেকেছি এবং আগামীতেও থাকবো।’