আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, মির্জা ফখরুল যে সমস্ত কথাবার্তা বলছেন, এসব কথার কোনো ভিত্তি ও যৌক্তিকতা নেই। একটা দায়িত্বশীল পদে থেকে এভাবে মিথ্যাচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার কোনো মানে হয় না।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় শহরের পিটিআই রোডে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হানিফ এসব কথা বলেন। নতুন বছরের পথচলায় এই সমস্ত অসত্য কথা বলে জাতিকে বিভ্রান্ত করার পথ পরিহার করতে বিএনপি’র নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন হানিফ।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘নতুন বছরে এ দেশের মানুষ অতীতের সকল গ্লানি ধুয়েমুছে নবউদ্যোমে যাত্রা শুরু করবে আমরা- এমনটাই প্রত্যাশা করি। সকলে আমরা মিলেমিশে এই দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাব- এটাই আমাদের প্রত্যাশা। সেই প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে, সবাই একসাথে কাজ করার সময় অহেতুক অসত্য কথা বলে নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি না করতে বিএনপি নেতাদের প্রতি অনুরোধ রইল।’

‘এখন আর কারো ওপর নির্ভর করা যাবে না, নিজেদের শক্তি দিয়েই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে’- মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, ‘বিএনপি নেতারা বর্তমান সরকারের পতন ঘটানোর জন্য বিদেশহি শক্তির ওপর নির্ভর করে, তাদের সহায়তায় যে ষড়যন্ত্র করেছিল- মির্জা ফখরুলের স্বীকারোক্তিতে সেটা প্রমাণ হলো।

এ জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ধন্যবাদও জানান হানিফ।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এখন মূল লক্ষ্য হচ্ছে সংগঠনকে গুছিয়ে ঐক্যবদ্ধ করা। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের মধ্যে যে ছোটখাটো বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে, কোন কোন জায়গায় অনৈক্য হয়েছে সেগুলোকে সাংগঠনিকভাবে দ্রুত নিরসন করে দলকে সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ করা। আগামী ২০২৫ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলকে সামনে রেখে উপজেলা নির্বাচনের পরে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে সকল মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির কাউন্সিল করা হবে।’

কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব ও বিএফইউজে’র সহসভাপতি আফরোজা আক্তার ডিউসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।