শিরোনাম
প্রায় তিন হাজার মানুষের মাঝে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ। শনিবার দলটির তেজগাঁও কার্যালয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এসময় চাল, ডাল, ছোলা, চিনি, সেমাইসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের প্যাকেজ বিতরণ করা হয়।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এই ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নিজেদের জন্য ইফতার পার্টি করে। আর আমরা মানুষের খাবারের আয়োজন করি।
এ সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ইফতার পার্টি না করে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করতে দলীয় সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার যে নির্দেশ তা পুরো ঢাকা শহরসহ সারাদেশে অব্যাহত রাখতে হবে।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি অবাক করা দল, বিএনপির এক নেতা বলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ভারত আমাদের সহযোগিতা করেছে, আবার আরেক নেতা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেন। মঈন খানের এক কথা, রিজভীর আরেক কথা। সিঙ্গাপুর থেকে মির্জা ফখরুল বলেন আরেক কথা। নেতায় নেতায় কথার মিল নেই।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি ক্ষমতাকেন্দ্রিক ও নিজেদের পকেটের উন্নয়নের দল। সাধারণ মানুষের দল নয়। আর আওয়ামী লীগ জনগণের দল। তিনি বলেন, বিএনপি ইফতার পার্টি করে আর আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে। এই হলো আওয়ামী লীগ আর বিএনপির মধ্যে পার্থক্য।
বর্তমান বাজারদর নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ইদানিং বেশ কিছু পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। পেঁয়াজের দাম কোথায় গিয়েছিল, এখন সেটা ৩০/৩৫ /৪০ টাকায় নেমে গেছে। আমার মনে হয়, জিনিসপত্রের দাম আরও কমবে। সাধারণ মানুষের সহনীয় পর্যায়ে আসবে।
তিনি আরও বলেন, আজকে বিএনপি আবার পাকিস্তানি কায়দায় পাকিস্তান আমল থেকেই যে অপপ্রচার শুনেছি রাজনৈতিক ইস্যু যখন থাকে না তখন একটা ইস্যু আওয়ামী লীগ বিরোধিতা। আগে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে হতো এখন আবার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হচ্ছে। সেটা হচ্ছে ভারতবিরোধী। এখানে ভারতের কি আছে? বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। নির্বাচনে ৪১ ভাগের বেশি ভোট পড়েছে, অনেক উন্নত দেশেও এই পরিমাণ ভোট পড়ে না। তারপরও তারা বলে ভারত এখানে নির্বাচিত করলো।
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনেক ষড়যন্ত্র ছিল জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতসহ বন্ধু দেশ যারা আছে তারা দেশি-বিদেশে নির্বাচন বানচালের যে চক্রান্ত চলছিল তখন তা প্রতিহতে পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কমটির সদস্য আব্দুল বাতেন, সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান, মিজানুর রহমান, নাসিরউদ্দিন দিলু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী ইকবাল, সাংগঠনিক সম্পাদক হালিমা আক্তার লাবণ্য, শাখাওয়াত হোসেন, হাবিবুর রহমান হাবিব, দপ্তর সম্পাদক আরমান হোসেন, উপ-দপ্তর নাদিম এছাড়া দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেনসহ অন্যান্যরা।