শিরোনাম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কানাডার ফেডারেল রায় অনুযায়ী বিএনপি আবারও প্রমাণ করলো তারা একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তাদের নির্বাচন বর্জনের আহ্বানের সঙ্গে চলমান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না তা তদন্ত করে দেখতে হবে।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকালে নিজ নির্বাচনী এলাকায় (নোয়াখালী-৫) ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা গভীর ক্ষোভ ও উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ও তাদের দোসররা নাশকতা, অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক সন্ত্রাসী তৎপরতা শুরু করেছে। তবে বিএনপি-জামায়াতের এসব গুজব ও অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে ভোটারদের নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘শুক্রবার তারা ঢাকার গোপীবাগে ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করে দুই শিশুসহ চারজনকে হত্যা করেছে। কয়েকজন অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। এ ঘৃণ্য, নৃশংস সন্ত্রাসের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি দেশকে ধ্বংস করতে চায়। এরা একাত্তরের পরাজিত, শক্তি পঁচাত্তরের ঘাতক দল; এদের বিশ্বাস করা যায় না। এরা মানুষকে পুড়িয়ে রাজনীতি করতে চায়।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির ভোট বর্জনের ডাক দিয়েছে। তারা প্রতিনিয়ত নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনবিরোধী অপপ্রচার করে যাচ্ছে। বিএনপির ভোট বর্জনের সঙ্গে চলমান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না তা তদন্ত করে দেখতে হবে। বাংলাদেশ কোনো অপশক্তির কাছে কখনো মাথা নত করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না।’
‘সারাদেশে শান্তিপূর্ণ ভোট হবে’ আশ্বাস দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। বিদেশি পর্যবেক্ষক সাংবাদিক যারা এসেছেন তারাও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। আজ যে অপশক্তি নির্বাচন বর্জন করেছে তাদের সন্ত্রাসীর চরিত্রের প্রমাণ আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। তারা বাসে আগুন দিচ্ছে, ট্রেনে আগুন দিচ্ছে। এদের সন্ত্রাসী চরিত্র সম্পর্কে আমরা বাংলাদেশের মানুষ অবগত। বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের কাছেও আমরা এই সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা সতর্ক থাকবেন। বিএনপি যেন নাশকতা করতে না পারে। আমরা বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে। কেউ যেন বিজয় ছিনিয়ে না নিতে পারে সেজন্য সতর্ক থাকুন। আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটে আবার সরকার গঠন করবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হয়ে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে নেতৃত্ব দেবেন। আমরা বিপুল ভোটে বিজয়ী হবো ইনশাআল্লাহ।’
‘বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনের পরও সহিংসতা চালিয়ে যেতে পারে’ বলে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘এর কঠোর জবাব দিতে হবে। নির্বাচন হয়ে যাক, কোনো সন্ত্রাসী পার পাবে না। তাদের বিচার হবে। সন্ত্রাস চালিয়ে বিএনপিকে কোথাও রাজপথে দাঁড়াতে দেবো না। আমরা কঠোর হতে জানি। সময়মতো সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’