‘বিএনপি প্রার্থীদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছে, যাতে ভোটটা বন্ধ হয়’

ফানাম নিউজ
  ০২ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:০৬

বিএনপি প্রার্থীদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছে, যাতে ভোটটা বন্ধ হয়ে যায়। এমন অভিযোগ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘শরণার্থীর জবানবন্দি ১৯৭১’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

প্রার্থীদের ওপর বিএনপি হামলা চালাতে পারে বলে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা জানি, প্রার্থীদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছে, যাতে ভোটটা বন্ধ হয়ে যায়। কোনো একটি নির্বাচনী এলাকায় যদি কোনো প্রার্থী মারা যান, তাহলে সেই নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। সে কারণে বিএনপি এমন পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু তাতে লাভ হবে না। তাদের সব পরিকল্পনা সন্ত্রাসীমূলক। এখন তারা প্রার্থীদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছে। জঘন্য সন্ত্রাসী সংগঠন ছাড়া কেউ সেটা করে না।

আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) নামের একটি মানবাধিকার সংগঠন বলেছে যে আমরা যদি মানবাধিকার নিয়ে কোনো বক্তব্য দিই, সরকার তাতে বিরক্ত হয়, তারা আমাদের প্রতিপক্ষ বলে মনে করে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা মোটেও বিরক্ত হই না। আমরা মানবাধিকার নিয়ে কথা বললে, সেগুলো আমরা দেখি, পর্যবেক্ষণ করি, অনেক ক্ষেত্রে সত্য ঘটনা হলে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। কিন্তু যারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেন, তারা পেট্রোল বোমা সন্ত্রাস নিয়ে কোনো কথা বলেন না কেন?

তিনি বলেন, বিএনপি ঘরানার কয়েকজন লোকের মানবাধিকার নাকি দেশের প্রতিটি মানুষের মানবাধিকারের কথা তারা বলছেন? মানবাধিকার নিয়ে কথা বললে সারাদেশের প্রেক্ষাপটে বলতে হবে। আজ যে মানুষের অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে, মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে ব্যহত করা হচ্ছে, সেটাও মানুষের সাংবিধানিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ। এগুলো নিয়ে তারা কথা বলে না কেন! সেটি নিয়ে কথা যখন বলেন না, তখন আমরা বিরক্ত হই। কিন্তু মানবাধিকার নিয়ে কেউ কথা বললে আমরা বিরক্ত হই না।

বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন নিয়ে তাচ্ছিল্য করে ড. হাছান বলেন, তাদের অসহযোগ আন্দোলন সফল। কারণ কেউ বিএনপিকে সহযোগিতা করছে না। কাজেই তাদের অসহযোগ আন্দোলন তাদের নিজেদের ক্ষেত্রে সফল। জিয়াউর রহমান কারফিউ দিয়ে দেশ চালাতেন, তিন বছর কারফিউ থাকতো, প্রথমে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে শুরু করেছিল, পরে রাত ১২টা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত তিনি কারফিউ দিয়েছিলেন। বিএনপি জিয়াউর রহমানের কাছ থেকেই এসব শিখেছে।