শিরোনাম
মহাজোটের শরিকরা আওয়ামী লীগের কাছে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে আগ্রহ দেখালে সে বিষয়ে আলোচনার সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। জাতীয় পার্টির নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে প্রকৃতপক্ষে বিরোধীদল হয়ে ওঠার এখনই মোক্ষম সময় বলেও জানান তিনি।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, কোনো প্রার্থীকে হুমকি-ধামকি দেওয়া হলে নির্বাচন কমিশন সেটা আমলে নিয়ে যে ব্যবস্থা নেবে আওয়ামী লীগ তাতে সাধুবাদ জানাবে। আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বহিষ্কার করা হবে- আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এমন কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন যে কোনো প্রার্থীর বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিলে ক্ষমতাসীনরা তাকে স্বাগত জানাবে। দলীয় বা স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামী লীগের কোনো পক্ষপাত নেই। নির্বাচন কমিশন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে যে ব্যবস্থা নেবে তাতে আওয়ামী লীগের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না।
দুর্নীতি, অর্থপাচার, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনের মাঠে আওয়ামী লীগের ফাইনাল খেলা হবে বলেও দাবি করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। অপরাজনীতি এবং রাজনীতির নেতিবাচক দিকগুলোর বিরুদ্ধেই ভোটের মাঠে শাসক দল লড়বে বলেও জানান তিনি।
বিএনপির অনেক নেতা নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী দিনে আরও অনেক নেতাই বিএনপি ছেড়ে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ভিড়বেন।
বিএনপি নির্বাচনে না এলে নির্বাচন অশুদ্ধ হবে অথবা এ কথা হবে কেন? এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত ৪৪টি দলের মধ্যে ২৮টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সবাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী নন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলনে অনেকে বিভ্রান্ত হয়ে এখন তারা সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরছেন।
বিএনপি তাদের ভুল রাজনীতির কারণে কর্মী হারাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন ভাড়াটিয়া টোকাই দিয়ে তারা ঝটিকা মিছিল করছে এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
সৎ সাহস থাকলে তারেক রহমানকে রাজপথে এসে রাজনৈতিকভাবে প্রতিপক্ষকে মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ কিন্তু কখনোই শত্রু নয়। কখনো আওয়ামী লীগ বেগম জিয়া বা জিয়াউর রহমানকে হত্যা করতে যায়নি। আন্দোলনের নামে নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে বিএনপি এরই মধ্যে সরকারি ১৭টি এবং ২৭৫টি ব্যক্তিমালিকানাধীন বাসে আগুন দিয়েছে।
বিএনপি লন্ডনে বসে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের নির্দেশ দিয়ে ভুলের রাজনীতি চর্চা করছে দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একক চেষ্টায় দেশে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার হয়েছে।
স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের যে কোনো ব্যবস্থাকেই ক্ষমতাসীনরা সাধুবাদ জানাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওসি এবং ইউএনওদের বদলির পর তারা (ইসি) জেলা প্রশাসকদেরও রদবদল করেছে। এতে কোথাও সরকারের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়নি।