শিরোনাম
আগামী ১২ ও ১৩ নভেম্বর (রবি ও সোমবার) দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টা সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম। বিএনপির নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোকে এ আহ্বান জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে শান্তিপূর্ণভাবে বিএনপির ডাকা এই অবরোধ কর্মসূচি পালনে এলডিপির নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
একই সঙ্গে শুক্রবার বাদ জুমা আন্দোলনে হতাহত নেতাকর্মী এবং হতাহত পোশাক শ্রমিকদের জন্য দোয়া মাহফিলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেন, ‘বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার গণতন্ত্রকে পদদলিত করেছে। ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার নির্বাসিত করেছে। জনগণকে জানোয়ার হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। দেশের অর্থনীতি ভয়ঙ্কর পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছে। বিরোধীদলের লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা, গায়েবি মামলা হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত হচ্ছে। টাকা পাচার অব্যাহত রয়েছে এবং দুর্নীতির উচ্চ শিখরে পৌঁছেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির প্রবীণ নেতাদের জেলে আটকিয়ে রেখেছে। অনেককে মিথ্যা মামলায় সাজাও দিয়েছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে এসব বিরোধীদলের নেতা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে লিপ্ত। জনগণের মানবাধিকার, অর্থনৈতিক অধিকার, ন্যায়বিচারের অধিকার এবং সর্বোপরি ভোটের অধিকার ফিরিয়ে এনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চেষ্টা করছে। মানুষকে এ অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে চেষ্টা করছে। এটাই তাদের একমাত্র অপরাধ। নেতারা শুধু তাদের স্বার্থ হাসিল করার জন্যই এ দায়িত্ব গ্রহণ করেনি। তারা ১৮ কোটি মানুষের মুক্তির জন্য, দেশকে প্রকৃত অর্থে স্বেচ্ছাচারমুক্ত করার একটা উদ্যোগ নিয়েছে।’
এলডিপি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘দেশের জনগণকে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করতে হবে। আজ বেগম খালেদা জিয়া মুমূর্ষু অবস্থায়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মিথ্যা মামলায় বিদেশে নির্বাসিত। তাহলে প্রশ্ন হলো দেশ এভাবে একদলীয় শাসনের মাধ্যমে ধ্বংস হয়ে যাবে, নাকি দেশের জনগণকে গা ঝাড়া দিয়ে উঠে দাঁড়াতে হবে। দেশকে রক্ষার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দেশকে নিরাপদ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের অদক্ষতা ও অব্যবস্থার কারণে নিত্যপণ্যের মূল্যের ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধির কারণে কৃষক, শ্রমিকসহ ৮০ শতাংশ গরিব মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়েছে। তারা অস্থিরতায় ভুগছে। অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে। দয়া করে তাদের কথা ভাবুন। মেহেরবানি করে বসে থাকবেন না, একবারের জন্য হলেও দেশের ব্যাপারে চিন্তা করুন।’
অলি আহমদ আরও বলেন, ‘যদি আপনারা মনে করেন আমরা সঠিক পথে আছি। তাহলে মেহেরবানি করে কিছু দিনের জন্য গাড়ি বের করবেন না। রাস্তায় দাঁড়িয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন করুন। প্রয়োজন বোধ করলে আমাদের কর্মসূচিতে যোগদান করুন। স্বাধীনতা হুমকির মুখে, চুপচাপ ঘরে বসে থাকার সময় নেই।’